"ঢাকাই রন্ধনশৈলী" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা: মানুষের ছত্রিশ প্রকার গুণ আছে বলে ধারণা করা হয়। শুধু সমরকৌশল ও কুটকৌশল ছাড়া ঢাকাইয়ারা প্রায় সব গুণেই গুণান্বিত। তবে তার সবচেয়ে লাজওয়াব গুণ হচ্ছে অতিথিপরায়ণতা ও রসনা বিলাস । এই দুই গুণের পরিপূরক হিসেবে ঢাকাইয়ারা পেয়েছেন চমৎকার নিজস্ব এক রন্ধনশৈলী, ঘড়ির কাঁটার সাথে তাল মিলিয়ে তাদের রন্ধনশিল্পে যুক্ত হয়েছে ভৌগলিক ও নানা সংস্কৃতির ছাপ । এই কারণে ঢাকার খাবার সমাহারে দেখা যায় মােগল, পারস্য, তুর্ক, লাক্ষ্নৌ, দিল্লি, ইংরেজসহ বাঙ্গালিয়ানার নানা স্বাদ সেই মূল সুর থেকে ভিন্ন, অবশ্যই নিজস্ব ঢংয়ে । এই সবই পরিচিতি পেয়েছে ঢাকাই খাবার নামে । ঢাকাই রন্ধনশিল্পের অনাস্বাদিতপূর্ব উপাখ্যান হলাে ঢাকাই রন্ধনশৈলী '। জার্মানির Bayfrisches Geoinstitut -এর একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন তারা পিনাট বাটারকে ডায়মন্ডে রূপান্তরিত করতে পারবেন এর শক্তিশালী কার্বন - কার্বন বন্ডের জন্য। জার্মান বিজ্ঞানীরা এখনও সফল হননি। তারা পারবেন কিনা সময়ই বলে দেবে। তবে হলফ করে বলা যায়, ঢাকা রন্ধনশিল্পীরা আপনার জিভে পানি ঠিকই আনতে পারবেন । ঢাকার কুজিন এনসাইক্লোপিডিয়া “ঢাকাই রন্ধনশৈলী'। ঢাকাই রন্ধনশৈলীর পরতে পরতে সেই কাহিনি বিধৃত করেছেন সাদ উর রহমান । চলুন জিভে জল আনা ঢাকাই খাবারগুলাে একটু চেখে দেখি ।