"ইউটিউব এভরিথিং" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: ইউটিউব এভরিথিং কেন? বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভিডিও-শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউব। বিশ্বব্যাপী ৫০ মিলিয়ন কনটেন্ট ক্রিয়েটর প্রতি মিনিটে এখানে ৫০০ ঘণ্টার বেশি ভিডিও আপলোড করে এবং ৩০ মিলিয়ন মানুষ প্রতিদিন ১ বিলিয়ন ঘণ্টা ইউটিউব দেখে। সমসাময়িক সময়ে বাঙালি কমিউনিটিতেও তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইউটিউব। অসংখ্য বেকার, তরুণ, গৃহিণীসহ নানান পেশার মানুষ ইউটিউবের জন্য ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করছে। হতে চাইছেন ইউটিউবার! কিন্তু তাদের সামনে সঠিক কোনো দিকনির্দেশনা নেই। কিভাবে শুরু করবেন, কোথা থেকে শুরু করবেন, কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকবেন, কোন ভুলগুলো এড়িয়ে চলবেন, অথবা কিভাবে কাজ করলে দ্রæত সাফল্য আসবে? আবার অনেকে দীর্ঘদিন ধরে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করছেন, কিন্তু সাফল্যের দেখা মেলেনি, এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়! তাদের ভুল কোথায়? কাজে কী কী পরিবর্তন আনলে এবং কী কী দিকনির্দেশনা মেনে চললে অচিরেই সাফল্যের মুখ দেখা যাবে? ইউটিউবারদের খুঁটিনাটি এমন নানান প্রশ্নের উত্তর, পরামর্শ এবং সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয় ধারাবাহিকভাবে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হয়েছে ইউটিউব এভরিথিং বইয়ে। এক মলাটে ইউটিউবের সকল সমস্যার সমাধান এবং সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ রয়েছে এই বইয়ে। বইটি পড়ার পর ইউটিউব-সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় সম্বন্ধে পাঠক স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ ধারণা পাবে, যা ব্যবহার করে যে-কেউ অনায়াসে ইউটিউবে সাফল্য বয়ে আনতে পারবে।
সূচিক্রম : মুখবন্ধ ১১ ভূমিকা ১৩ ইউটিউবের ইতিহাস ১৭ প্রথম অধ্যায় : চ্যানেল খোলার পূর্বে আত্মবিশ্বাস এবং ধৈর্য ২৩ সৃজনশীল দক্ষতা ২৬ কনটেন্ট নির্বাচন ২৭ ব্যবসায়িক বিশ্লেষণ ৩০ ইউটিউব থেকে আয়ের ভিন্ন ভিন্ন উৎস ৩২ মনিটাইজেশন বা পার্টনার প্রোগ্রাম ৩৩ মনিটাইজেশন পাওয়ার যোগ্যতা ও শর্তসমূহ ৩৩ স্পন্সর বা পৃষ্ঠপোষক ৩৬ প্রোডাক্ট রিভিউ ৩৬ ইউটিউব মার্চেন্ডাইজ ৩৭ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ৩৮ কমিউনিটি গাইডলাইন ৩৯ নগ্নতা এবং যৌনতা ৪৩ ক্ষতিকর এবং বিপদজনক কনটেন্ট ৪৫ ঘৃণ্য বক্তব্য ৪৬ হিংস্র কর্মকাণ্ড ৪৭ হয়রানি এবং অনলাইনে হুমকি ৪৮ স্প্যাম এবং প্রতারণামূলক কনটেন্ট ৪৯ ভিডিও স্প্যাম ৪৯ বিভ্রান্তিকর বিবরণ এবং থাম্বনেইল ৫১ স্ক্যাম বা জালিয়াতি ৫১ উদ্দীপনামূলক স্প্যাম ৫২ মন্তব্য স্প্যাম ৫৩ লাইভ ভিডিও অপব্যবহার ৫৪ গোপনীয়তা ৫৪ ভাবমূর্তি এবং নিজস্বতা ৫৫ কপিরাইট ৫৬ কপিরাইট কী? ৫৬ ইউটিউবে কপিরাইট ৫৭ কোন ধরনের কনটেন্টের কপিরাইট হয়? ৫৭ কপিরাইট স্ট্রাইকের শাস্তি ৫৮ কপিরাইট সম্বন্ধে কিছু ভ্রান্ত ধারণা ৫৯ কনটেন্ট আইডি কী? ৬১ কনটেন্ট আইডি পাওয়ার যোগ্যতা কী? ৬২ অন্য কেউ আপনার ভিডিও চুরি করলে কী করণীয়? ৬৩ শিশুদের নিরাপত্তা ৬৩ মেড ফর কিডস, নট মেড ফর কিডস ৬৪ অ্যাডসেন্স ৬৬ গুগল অ্যাডসেন্স কী? ৬৬ অ্যাডসেন্স একাউন্ট করতে কী কী লাগে? ৬৭ ইউটিউবের সাথে অ্যাডসেন্সের সম্পর্ক এবং কর্মপদ্ধতি ৬৭ ইউটিউবের সাথে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট কখন, কিভাবে যুক্ত করতে হয়? ৬৮ অ্যাডসেন্স একাউন্টের নাম এবং তথ্য ৬৮ অ্যাডসেন্স একাউন্টের পিন ভেরিফিকেশন ৬৯
দ্বিতীয় অধ্যায় : চ্যানেল খোলা ইউটিউবে চ্যানেল খুলতে কী কী লাগে? ৭৩ চ্যানেলের নাম নির্বাচন ৭৪ নামের ইউআরএল চেক ৭৫ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এবং ব্র্যান্ড অ্যাকাউন্ট ৭৬ চ্যানেলের লোগো অথবা ইন্ট্রো ৭৭ ইন্ট্রো কি এতটা গুরুত্বপূর্ণ? ৭৮ চ্যানেল সজ্জা ৭৯ হোম পেজের সাজসজ্জা ৭৯ কভার আর্ট এবং লিংকস্ ৮১ চ্যানেলের বিবরণ ৮২ ই-মেইল এড্রেস এবং লোকেশন ৮২ লোকেশন বা অবস্থান ৮৩ ফিচার্ড চ্যানেল ৮৪ চ্যানেল সেটিং ৮৫ চ্যানেলের কি-ওয়ার্ড ৮৬ দেশ নির্বাচন ৮৭ সাবসক্রাইবার সংখ্যা প্রদর্শন ৮৯ ব্র্যান্ডিং ৯০
পঞ্চম অধ্যায় : ইউটিউব কনটেন্ট আইডিয়া ভ্লগিং ১২০ ভ্রমণ ১২০ সমালোচনা ১২১ সাক্ষাৎকার ১২১ টিউটোরিয়াল ১২২ শিক্ষামূলক কনটেন্ট ১২২ অনুপ্রেরণাদায়ী কনটেন্ট ১২২ কৌতুক বা ফানি ভিডিও ১২৩ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ১২৩ তথ্যচিত্র নির্মাণ ১২৩ ফুড রিভিউ এবং রেসিপি ১২৪ সংবাদ ১২৪ চলচ্চিত্র এবং নাটক ১২৪ মিউজিক ভিডিও ১২৫ শিশুদের জন্য কনটেন্ট ১২৫
ষষ্ঠ অধ্যায় : প্রশ্ন ও উত্তর ইউটিউবে চ্যানেল খুলতে কী কী লাগে? ১৩০ কোন কনটেন্ট নিয়ে কাজ করলে বেশি আয় করা যায়? ১৩০ সাবস্ক্রাইবার এবং ভিউ কিভাবে বাড়ানো যায়? ১৩১ স্ট্রাইক থাকলে মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করা যাবে? ১৩২ কোনো বিশেষ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সাবস্ক্রাইবার নিলে কোনো সমস্যা হবে? ১৩২ একজন ব্যক্তির কয়টি অ্যাডসেন্স একাউন্ট থাকতে পারে? ১৩৩ একটি অ্যাডসেন্স একাউন্টে কয়টি ইউটিউব চ্যানেল যুক্ত করা যায়? ১৩৩ ভুল করে দুটি অ্যাডসেন্স একাউন্ট খোলা হলে কী করণীয়? ১৩৪ কোনো স্ট্রাইক না এলেও কী কী কারণে মনিটাইজেশন চলে যেতে পারে? ১৩৪ হোয়াটস অ্যাপে লিংক শেয়ার করলে কোনো সমস্যা হবে কী? ১৩৫ মনিটাইজেশন হারালে দ্বিতীয়বার আবেদন করার নিয়ম কী? ১৩৬ কত ভিউতে কত টাকা আয়? ১৩৬ চিঠি না এলে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টের ঠিকানা ভেরিফাই করার উপায় কী? ১৩৭
তরুণ কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট এবং সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমানের জন্ম ও বেড়ে-ওঠা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা যশোরে। পৈতৃক নিবাস যশোরের সদর থানার খোজারহাট গ্রামে। বাবা-মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান সবার বড়। লেখাপড়া করেছেন যশোরের খোজারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছাতিয়ানতলা চুড়ামনকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ এবং ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। বিশ^বিদ্যালয়ে কম্পিউটার প্রকৌশল নিয়ে পড়াশোনা করলেও আত্মনিয়োগ করেছেন সাহিত্য-সাধনা এবং সাংবাদিকতায়। ২০০৯ সাল থেকে সাংবাদিকতার সাথে জড়িত, একটি অনলাইন পত্রিকা সম্পাদনাসহ কাজ করেছেন বিভিন্ন পত্রিকায়। সাম্প্রতিককালে তারুণ্য, শিল্প-সাহিত্য, চলচ্চিত্র এবং ট্রেন্ডিং বিষয় নিয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ইউটিউবে আলোচনা করেন। বস্তুত, তিনি একজন পেশাদার ইউটিউবার। ইউটিউবসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে মোস্তাফিজুর রহমানকে @MustafizAuthor ইউজারে খুঁজে পাওয়া যাবে।