"সত্যজিৎ চলচ্চিত্রে রবীন্দ্র সাহিত্য" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ দুজন বাংলা শিল্পের মহীরূহ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনার ভিন্ন মাধ্যমে উপস্থাপনের কলাকৌশল ও চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রকৌশলে সত্যজিৎ রায় যে কৃত্যবিদের পরিচয় দিয়েছেন তা পাঠক ও দর্শক উপলব্ধি করেছেন। সাহিত্য এবং চলচ্চিত্র সীমাবদ্ধ দৃষ্টি ও শিল্পের ঊর্ধ্বে গিয়ে যেভাবে মিলিত হয়েছে, এ গবেষণায় সেই মিলন এবং উত্তরণ উন্মোচন ঘটেছে। সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রের কাঠামোগত বৈপরীত্য থাকা সত্তে¡ও এই শিল্প মাধ্যম দুটি রবীন্দ্রনাথের হাত দূরে সত্যজিতের চলচ্চিত্র যেভাবে নির্মিত হয়েছে, আলোচ্য বইটিতে সে চিন্তন ও অনুভবের মিশ্রণকে অবলম্বন করে স্বাদু গদ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। চলচ্চিত্র মাধ্যমটির যে স্বরূপ সত্যজিৎ রায়ের আবির্ভাবের বহু পূর্বেই রবীন্দ্রনাথ বিশ্লেষণ করেছিলেন, সত্যজিৎ সে স্বরূপটিকে আত্মস্থ করে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকে মূর্ত করে তুলেছেন। একই সাথে বলা যায় রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ - এই দুই মহৎ শিল্পীর সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা কেবল দুই শিল্প মাধ্যমের প্রকাশভঙ্গির পার্থক্যই সূচিত করে না, যুগপৎ নির্দেশিত করে দুই মহৎ শিল্পীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গত মিলন এবং উত্তরণ। ‘সত্যজিৎ চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রনাথ’ একটি গবেষণা গ্রন্থ। গবেষণার রীতি-পদ্ধতি ও গদ্যের অবয়ব ঠিক রেখে শিল্প-গবেষণা একটি কঠিন কাজ, অংকিতা সাহা এ কঠিন কাজটি করেছেন। দীক্ষিত পাঠক প্রিয় হয়ে উঠুক এ গ্রন্থ।
জন্ম ২১ নভেম্বর ১৯৮৬, জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার শহরে। পৈতৃক বাড়ি কোচবিহার জেলার দিনহাটা শহর। স্কুল-কলেজ সবটাই দিনহাটায়, স্নাতকোত্তর ও এম. ফিল দুটোই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রাজুয়েশন লেভেলে সেকেন্ড ক্লাস ফার্স্ট এবং ¯স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম। এম.ফিল চলাকালীন নেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, এরই সাথে সাথে কিছু কিছু লেখার মধ্য দিয়ে হাতেখড়ি; একই সঙ্গে শিক্ষকতার কাজে অভিজ্ঞতার জন্য কিছুদিন নকশালবাড়ি কলেজে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে যোগদান। বর্তমানে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়, শিলচর-এ পিএইচ.ডি গবেষণারত। এটি তাঁর প্রথম গবেষণা গ্রন্থ।