সময় মধ্যযুগ- পনেরো শতকের হাঙ্গেরী। তুর্কি বাহিনির সঙ্গে শুরু হয়ে গেছে ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ। ঠিক এমন সময় এক অভিজাত পরিবারে জন্ম হলো ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের। যেমন তার চোখ ঝলসানো রূপ, তেমনি তার মেধা, তীক্ষ্ম বুদ্ধি আর দুর্দমনীয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু কিশোরী বয়সেই করে বসলেন মারাত্মক এক ভুল! কী সেই ভুল? যার শাস্তিস্বরুপ মাত্র ১৩ বছর বয়সেই তার মা তাকে বিয়ে দিয়ে দিলেন! ওদিকে বিয়ের পর স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার চলতে লাগলো কালো জাদুর চর্চা। ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন শয়তানের পরম উপাসক ও শক্তিশালী এক ডাকিনী। সাথে শরীরের দাউ দাউ আগুন নেভানোর জন্য পুরুষ শিকার চলছেই। ততদিনে তার সঙ্গী হিসেবে জুটে গেল আরও দুই শক্তিশালী ডাকিনী। তাদের নিয়ে অগোচরে প্রতিনিয়ত চলতো কীসের খেলা? জীবন নাকি মৃত্যুর গোপন খেলা? তাতেও সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না এলিজাবেথ বাথোরী। কারণ তার চাই চির যৌবন! একদিন হুট করেই আবিষ্কার করে ফেললেন চির যৌবন ধরে রাখার রহস্য! কী সেই রহস্য? শুরু হলো প্রতিরাতে নৃসংশভাবে কুমারী মেয়ে হত্যা করা। একে একে ছয়শোরও বেশি কুমারী মেয়ে হত্যা করলেন তিনি! তাই ইতিহাসে পরিচিত হন নিষ্ঠুর এক হত্যাকারী রূপে- মূর্তিমান শয়তান রূপে। সবাই তাকে ডাকতেন “দ্যা ব্লাড ক্লাউন্টেস” বা “ক্লাউন্টেস ড্রাকুলা” নামে। নাকি ছিলেন মধ্যযুগের ইউরোপের এক করুন রোমান্টিক নায়িকা? ভালোবাসার জন্য বহুগামী, এমনকি সমকামী হতেও যিনি পিছপা করেননি! শেষ পর্যন্ত আত্মসর্মপন করেছেন ভালোবাসা নাকি শরীরের কাছে? মৃত্যুর পরও যাকে নিয়ে ধোয়াশা কাটেনি! ইতিহাসের সর্বপ্রথম মহিলা সিরিয়াল কিলার ‘এলিজাবেথ বাথোরী’ এর জীবনকাহিনি নিয়ে রচিত ঐতিহাসিক থ্রিলার উপন্যাস “লাল মোহিনী”-অবশ্যপাঠ্য।