"দ্য ব্রিদিং মেথড ও ফেয়ার এক্সটেনশন" বইয়ের সারসংক্ষেপ:
"দ্য ব্রিদিং মেথড " ২৪৯,বি -৩৫ এর পূর্ব পাশ দিয়ে চলে গেছে রাস্তাটা। পাশে ছোটো একটা ক্লাব। এত অভিজাত এলাকায় থেকেও এ ক্লাবটার ছায়া যেনো এড়িয়ে চলতে চায় লোকে। কিন্তু, কেনো ? কি হয় ওখানে ? তেমন কিছু হয়ত না। তবে বলে রাখি সপ্তাহান্তের শেষে কিছু অদ্ভুতুড়ে লোকের সমাগম ঘটে জায়গাটায়। লোকে বলে সেদিন নাকি ক্লাবঘরে আত্নাদের হাট বসে। তাদের মধ্যে গল্প হয়। সে গল্প আমার, আপনার পুরোনো এই পৃথিবীর গল্পের মত নয়। তারা একেবারেই ব্যতিক্রম। জাগতিক ভাবনার বাইরে গিয়ে একেক দিন সেখানে ঢুকে পড়ে একেকজন মানুষ। তাদের গল্প বলতে হয়। ভিন্নধর্মী আর নতুনত্বের মোড়কে জড়ানো সব সত্য মিথ্যের গল্প। সবার শেষে পালা আসে ডেভিডের। শুরু হয় এক অদ্ভূতুড়ে গল্পের। মধ্যরাত্রিতে যখন পিনপতন নিরবতা তখন ওরা আসে। চুপচাপ গল্প শোনে। দেখতে ঠিক মানুষের মতই ! গল্পে উঠে আসে সান্দ্রা স্টান্সফিল্ডের নাম। এ গল্প একজন নারীর। এ গল্প তার সন্তান জন্ম দেয়ার সময়টার।
"ফেয়ার এক্সটেনশান" আগস্ট, ২০০১। ডেইরি মেইন থেকে বাড়ি ফেরার পথে একজন আগন্তুকের সাথে হঠাৎ দেখা হয় ডেভ স্ট্রিটারের। রাস্তার পাশে এয়ারপোর্টের কাছে দাঁড়ানো একটা লোক। নাম জর্জ এলভিড। যে কিনা দাবী করছে তার বয়েস একশ বছরেরও বেশী। পেশায় বিক্রেতা। কি বিক্রি করেন জানতে চাইলে এলভিড জবাব দেয়, " বৃদ্ধি করে এমন যেকোনো কিছু বিক্রি করি আমি। এমনকি সেটা মানুষের জীবনের আয়ু হলেও !" স্ট্রিটার একজন দুরারোগ্য ক্যান্সারের শেষ স্তরের রোগী। মাস ছয়েক বাঁচার সম্ভাবনাও নেই। এটা যখন প্রকাশ পায় তখন এলভিডের ছুঁড়ে দেয়া এক অদ্ভূত প্রস্তাবের মুখোমুখি হয় সে। জানায় স্ট্রিটারের জীবনের আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে ও ! বিনিময়ে বছরান্তের মোট উপার্জনের ১৫ পার্সেন্ট দিয়ে দিতে হবে তাকে। রহস্যময় এই মানুষটি আসলে কি চায় ? স্ট্রিটার কি রাজি হবে তার প্রস্তাবে ? জীবনের অর্ধায়ু বাড়ানোর শর্তে সামনে এসে দাঁড়ায় তারচেয়েও অদ্ভূত এক সত্য। জীবনের চাইতেও তীব্রভাবে ঘৃণা করে এমন কারোর নাম জানাতে হবে স্ট্রিটারকে। আদৌ কি এমন আছে যাকে নিজের জীবনের চাইতেও বেশী ঘৃণা করে ডেভ স্ট্রিটার ? প্রিয় পাঠক চলুন ঘুরে আসি স্টিফেন কিংয়ের রহস্যময় চরিত্র এলভিড আর মৃত্যুপথযাত্রী এলভিড স্ট্রিটারের করা অদ্ভূত এক সওদার স্বাক্ষী হতে।
স্টিফেন কিং-এর জন্ম মেইনের পাের্টল্যান্ডে, ১৯৪৭ সালে। তার প্রথম ছােট গল্প প্রকাশিত হয় স্টার্টলিং মিস্ট্রি স্টোরিজ-এ, ১৯৪৭ সালে। ১৯৭১-এ তিনি হাই স্কুলে ইংরেজি পড়াতে শুরু রেন। লেখালেখি করতেন তখন শুধু সপ্তাহান্তে ও রাতে। ১৯৭৩ সালের বসন্তে, ডাবলডে অ্যান্ড কো., ক্যারী বইটিকে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে পুরােদস্ত লোক বনে যান। এই পর্যন্ত পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন তিনি, পরিণত হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সফল লেখকে। মেইন ও ফ্লোরিডায় বাস করেন শ্ৰী, ঔপন্যাসিক। টাবিথ হি-এর সঙ্গে।