লালবাগ কেল্লায় রাতের বেলা আসলেই কি কোনো অশ্বারোহী ঘোড়া ছুটিয়ে বেড়ায়? এয়ারপোর্ট রোডে গভীর রাতে দেখতে পাওয়া অশরীরী নারীমূর্তি আসলে কে? গলফ হাইটস এর পাশের কবরস্থান থেকে কি আসলেই কোনো বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়? শহীদুল্লাহ হল সংলগ্ন পুকুরেই বা এত মানুষ কেন ডুবে মারা যায়? চন্দ্রনাথ মন্দিরের সেই রহস্যময় পুরোহিত আসলে কে? লেডি ম্যাটকালফ এর আত্মা কি এখনো ন্যাশনাল লাইব্রেরি পাহারা দেন? রবীন্দ্র সরবোর মেট্রো স্টেশনকে কেনই বা ভূতুড়ে স্টেশন বলা হয়? হেস্টিংস সাহেবের ভূতকে কি এখনো হেস্টিংস হাউসে ঘোড়ার পিঠে বসে থাকতে দেখা যায়? দুই বাংলায় ছড়িয়ে থাকা এরকম বেশ কিছু রহস্যময় স্থানের কাহিনী নিয়ে রচিত “বাংলার রহস্যময় স্থান”। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মুখে মুখে চলে আসা এসকল কাহিনী কি শুধুই জনশ্রুতি নাকি আসলেও এরকম ঘটে? "বাংলার রহস্যময় স্থান" বইটিতে একটু নতুনত্ব আনার চেষ্টা করা হয়েছে। দুই বাংলার ৪০টি রহস্যময় জায়গা নিয়ে লেখা হয়েছে বইটি। না, এটা নতুনত্ব না। নতুনত্ব টা হচ্ছে এই বইতে অধিকাংশ জায়গার বর্ণনা শেষে সেখানকার ম্যাপ জুড়ে দেয়া হয়েছে কিউ আর কোড এর মাধ্যমে। যাতে করে উৎসাহী পাঠকগণ পড়ার সময় চাইলে সেসব জায়গায় হালকা দেখাও পেয়ে যেতে পারেন।