বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া নিশুতি রাতে, বারান্দার কোণে পাতা বেতের চেয়ারটির দিকে তাকিয়ে থরথর করে কাঁপছে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী শাওন হাবীব। ফুটফুটে, সুন্দর, ছোট্ট একটি শিশু চেয়ারটিতে বসে তার দিকে তাকিয়ে হাসছে। মদ্যপ ও দুশ্চরিত্রের নিয়াজ মোর্শেদ প্রতিনিয়ত অত্যাচার করে চলেছে নিরীহ স্ত্রীর ওপর। পাশের ঘরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত আতিয়া সুলতানা দুচোখের জল ফেলতে ফেলতে খোঁজেন মুক্তির পথ। চিরকুমার, পরোপকারী এক চিকিৎসক, বিনামূল্যে চিকিৎসা করতেন এলাকার লোকজনের। বৃদ্ধ বয়েসে এসে অর্থকষ্টে পড়ে যান তিনি নিজেই। রোগীরা আর আগের মতো ভিড় করে না তার চেম্বারে। পারিবারিক জটিলতার মাঝে বড়ো হওয়া সুন্দরী, শিক্ষিতা, এতিম মুনিয়া তাজরীন ভালোবেসে বিয়ে করে তারই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একটি ছেলেকে। তার জীবনে হঠাৎ এক ঝড় এসে বদলে দেয় সবকিছু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সুদর্শন, মেধাবী, সৎ, নির্ভীক ছেলে ইমন; কিছু মানুষের মুখোশ খুলতে গিয়ে জড়িয়ে গেল জটিল এক জালে। উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্রের মানুষগুলোর জীবনে আচানক এসে হাজির হয় ফুটফুটে সুন্দর, নাদুসনুদুস একটি শিশু। ঘটতে থাকে একের পর এক মজার ও রহস্যময় ঘটনা। কে এই শিশু? কী চায় সে? কী তার প্রকৃত পরিচয়? কেউ কি পেল তার পরিচয়? জানতে হলে বইটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে আপনাকে।