“অরণ্যের দিন অরণ্যের রাত" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ভালােবাসার মানুষকে আরও নিবিড়ভাবে জানতে সজল। শহরের কোলাহল ছেড়ে চলে আসে অরণ্যের বুকে তার। পুরনাে বাংলাে বাড়িতে, যেখানে গাড়ির গায়ে পড়া হরন। নেই, নেই এত এত মানুষের ভিড়। সেই সাথে অপেক্ষা মিতুলের। সেই নির্জন বাংলো বাড়িতে পাখির কুহুতান, ভােরের ফুল, ঘাসের উপর শিশির বিন্দুর সাথে সাথে তাদের পরিচয় হয় কেয়ারটেকার আর তার বউ ফুল্লরীর নতুনরূপে। যারা এই নিভৃত অরণ্যের আদি মানুষ । যে সহজ, সরল জীবন সজলের চিরকালের চাওয়া তা। চাইলেই কি আর পাওয়া যায় সহজে? নানা ঘটনার বাঁক। গলে একদিন আবারাে তারা ফিরে আসে সেই বাংলাে । বাড়িতে, জন্ম নেয় মিতুল আর সজলের প্রথম সন্তান। নিঃসন্তান ফুল্লরী ভালােবেসে সযতনে বড়াে করে চলে সেই সন্তান। ফুল্লরীর মাতৃরূপ বিচলিত করে মিতুলকে। নিজেই। নিজেকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়, সরিয়ে দিতে চায় তার। সন্তানের কাছের মানুষটিকে, মুছে দিতে চায় প্রিয় আদর,। প্রিয় ওম। মা হয়েও মিতুল কি পারবে মাতৃত্বহীনতার এই। কষ্টকে অদেখা করতে? ফুল্লরীকে সহজভাবে মেনে নিতে? এই দ্বান্দ্বিকতার মাঝেই একদিন আসে সেই রাত, যে রাত। বদলে দেয় ঘটনাপ্রবাহ। যেন কুয়াশা ঘেরা অরণ্যের সিদ। কেটে নতুন এক আলাের প্রহর উকি দিয়ে যায় চুপিসারে...