"দি প্রফেট (স.)" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ কবি হচ্ছেন সমাজের সব থেকে সংবেদনশীল মানুষ। সাহিত্যের সর্বোৎকৃষ্ট স্থানে কবিতার অবস্থান। যিনি কবিতা লেখেন, যিনি কবিতা পড়েন, যিনি কবিতা শােনেন অর্থাৎ কবি এবং কবিতার পাঠক, শ্রোতা সবাই প্রথম শ্রেণির সংস্কৃতিবান। রাসূল (স.) কবিতার একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। কবিতা এমন একটি অস্ত্র যা তরবারির চেয়েও ধারালাে। তার সময়ের কবিদেরকে তিনি এরকম ধারালাে কবিতা লিখতে প্রণােদনা দিতেন। তিনি শুধু কবি ও কবিতার পৃষ্ঠপােষকই ছিলেন না, নবুয়তের মতাে গুরুদায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েও কবি ও কবিতাকে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে কবিতার ওপর আলােকপাত করেছেন, মন্তব্য রেখেছেন এবং বিভিন্ন জনের কবিতা শুনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এরকম একটি উল্লেখযােগ্য মন্তব্য হলাে, যে দুটো মনােরম আভরণে বিশ্বাসীকে আল্লাহ সাজিয়ে থাকেন— কবিতা তার একটি। শােকে-দুঃখে, আনন্দ-বেদনায় রাসূল (স.)-কে ঘূর্তিতে রাখার জন্য সাহাবি কবিরা কবিতা আবৃত্তি করে শােনাতেন। সাহাবি কবিদের। মধ্যে কবি হাসসান বিন সাবিতের প্রতি রাসূল (স.)-এর প্রবল ভালােবাসা ছিল। তাঁর কবিতা ছিল উন্মুক্ত এবং উত্তোলিত তরবারির মতাে। মহানবী (স.) অনেককেই জীবিতাবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছিলেন। কবিতা লেখার পুরস্কার হিসেবে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন হাসসান বিন সাবিত (রা.)। হাসসান বিন সাবিতের কবিতা শুনে রাসূল (স.) ঘােষণা দিয়েছিলেন, “হে হাসসান, আল্লাহর কাছ থেকে তােমার জন্য পুরস্কার রয়েছে জান্নাত।”
Arif Moinuddin বাবা মরহুম নজীর আহাম্মদ (বড় মিঞা)। মা মরহুমা বেগম মাফিয়া খাতুন। জন্ম ১ জানুয়ারি, ১৯৬১। ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামে। সেখানকার হাট পুকুরিয়া সংলগ্ন চণ্ডিপুর মুন্সী বাড়িতে। ওই এলাকার দুধমুখা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে এসএসসি এবং পার্শ্ববর্তী নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুজিব মহাবিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে এইচএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে বাণিজ্যে মার্কেটিং বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক এবং ১৯৮৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এ বইটিসহ তাঁর মোট ২০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি কাব্যগ্রন্থ, ৫টি গল্পগ্রন্থ এবং ৮টি উপন্যাস। লেখালেখিতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি রোটারীক্লাব ইন্টারন্যাশনাল-এর সম্মাননা, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স্মৃতি পুরস্কার, কবি জসীম উদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার এবং বাংলাদেশ রাইটার্স ফাউন্ডেশন বেস্টবুক অ্যাওয়ার্ডসহ আরও বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করেছেন। ওয়ার্ল্ড এক্সপোজিশন ২০০৫ উপলক্ষে জাপান সরকারের আমন্ত্রণে ১০ সদস্যের এক সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দলের সদস্য (কবি) হিসেবে সে বছর জুন মাসে তিনি জাপান সফর করেন।