নভেম্বরের শেষের দিকে একদিন আকাশে মেঘ জমলো। সকাল থেকে দু এক ফোঁটা বৃষ্টিও হচ্ছিল। ইরা স্কুলে যাবার সময় ছাতা নিলো না। এখন ঝুম বৃষ্টি হবার কোন সম্ভাবনা নেই। সারাদিন আকাশ মেঘের চাদরে ঢাকাই থাকলো। ইরার ক্লাশ ছিল এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সাথে। ওদের মডেল টেস্ট এর প্রশ্ন দিয়ে ইরা ক্লাশের বাইরে এসে দাঁড়ালো। মেঘে ঢাকা আকাশটা দেখতে বেশ লাগছে। মনে হচ্ছে বর্ষার মাঝামাঝি দুপুর। দূরের আকাশ কাছে নেমে এসেছে। ইরা আজ সাদা জমিনের উপর নীল ফুলের ছাপা শাড়ি পড়েছে। ইরা দেখলো স্কুলের সামনের রাস্তা দিয়ে কালো পাজেরো যাচ্ছে। বুঝতে পারলো তানভীর সাহেব এসেছেন। সকালে নাস্তার টেবিলে আয়শা আন্টি বলেছিলেন আজ তানভীর সাহেব আসবেন। রওনা করেছেন ঢাকা থেকে। স্কুলের টিচার্স কমনরুমেও টিচাররা বলছিলেন। ইরা একটু ভাবলো ও তানভীরের বাড়িতেই আছে, যে কদিন উনি থাকবেন, মরিয়মকে বলবে ইরার সব কিছু রুমেই দিতে। সম্পূর্ণ অপরিচিত, তার উপর ইরা একরকম ওদের ইম্প্লোয়ি। যাই হোক আজকের আবহাওয়াটা কিন্তু অসম্ভব সুন্দর। ঢাকার বৃষ্টিও সুন্দর, কিন্তু রাস্তায় পানি জমে জমে বৃষ্টির রোমান্টিসিজমটা নষ্ট হয়ে যায়। আকাশে মেঘ ডাকছে গুরু গুরু শব্দে। চারপাশটা অন্ধকার হয়ে আছে। দূরের ধানখেতে যতদূর চোখ যায় মেঘে মেঘে ছেয়ে আছে। তিন তলার বারান্দায় বসে ইরার মনে হলো ও কোন মেঘের দেশে এসে পড়েছে। শানজানা আলমের মিষ্টি প্রেমের গল্প "রূপকথা নয়" অনুভূতি আর ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্বের গল্প।
শানজানা আলম, লেখালেখির অভ্যাস বাবার কাছ থেকে পাওয়া। তিনি গল্প বলেন, নিজের চারপাশের কথাগুলোই লিখে দৃশ্যমান করার চেষ্টা চলে অবিরাম। বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়ায় নিজের টাইম লাইন এবং বিভিন্ন গ্রুপে তার গল্পগুলি বেশ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রফেসর বাবা এবং স্কুল শিক্ষিকা মায়ের বড় এবং একমাত্র মেয়ে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে এখন সময় কাটে লেখালেখি নিয়ে। স্বামী মোঃ আশিকুজ্জামান এবং একমাত্র মেয়ে আফশীনকে নিয়ে তিনি ঢাকাতে থাকেন।