”সুদূরে বাজিছে বাঁশি” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: এ-বই পাশ্চাত্য ধ্রুপদী সংগীতে রবীন্দ্রনাথের সস্থান ও সংযােগ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের উপর পাশ্চাত্য সংগীতের প্রভাব নয়, বরং রবীন্দ্রনাথের কবিতাকে পাশ্চাত্যের ধ্রুপদী সংগীতস্রষ্টারা কীভাবে তাঁদের সৃষ্টিতে ব্যবহার করেছেন সেই প্রসঙ্গই এখানে আলােচিত। সাহিত্যে নােবেল পুরস্কার পাওয়ার পর রবীন্দ্রনাথের নাম ও কাজ প্রধানত ইউরােপ এবং আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে, যদিও ‘রবীন্দ্রসংগীত বলতে আমরা যা বুঝি তার সঙ্গে সেখানকার প্রায় কেউই পরিচিত ছিলেন না। তা সত্ত্বেও চেকোস্লোভাকিয়া অস্ট্রিয়া ডেনমার্ক আমেরিকা ইংল্যান্ড ইটালি ইত্যাদি নানা দেশের সংগীতস্রষ্টা রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও লিরিক পড়েছিলেন এবং সম্পূর্ণতই তাঁদের সংগীত-আঙ্গিক আর পরিবেশ অনুযায়ী তাতে সুর সংযােগ করেছিলেন— ইনস্ট্রমেন্টাল, ভােকাল দু ক্ষেত্রেই। লেওশ ইয়ানাচেক, ভিলহেলম স্টেনহামার, আলেকসান্ডার জেমলিনস্কি, ফ্রাঙ্কো আলফানাে, জন অলডেন কারপেন্টার, ফ্র্যাঙ্ক ব্রিজ, জন ফোল্ডজ, কারােল শিমানফস্কি, রুদ লাংগ, অ্যান মারি ক্যালওয়ে, ফ্র্যাঙ্ক টিকেলি এবং করিম অল-জন্ড— বিংশ শতকের প্রথমার্ধ থেকে সমসময় পর্যন্ত এই বারােজন কম্পােজারের রবীন্দ্রনির্ভর সৃষ্টির অভিযাত্রা ধরা রইল বইটিতে।
শুভব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮২। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বি এ এবং এম এ। ‘দেশ’ পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ করেন। ‘দেশ’, ‘বইয়ের দেশ’, ‘জলার্ক’ প্রভৃতি পত্রিকায় লিখেছেন প্রবন্ধ, কবিতা, ব্যক্তিগত গদ্য। প্রকাশিত হয়েছে কাব্যগ্রন্থ— ‘এই সারস্বত আড়াল' (২০১৬), ‘ঢেউয়ের অনন্ত সার্কাস ও শিরস্ত্রাণহীন স্বপ্নগুচ্ছ' (২০১৮) এবং ‘শব্দ গড়ো নীরবতা' (২০১৯)।