“এক্স ওয়ার্ল্ড" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ ‘এক্স ওয়ার্ল্ড’ অদ্ভুত কল্পনার অতি অদ্ভুত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর এক বই। অদ্ভুত কল্পনার বললাম এজন্য যে, কল্পনারও সীমাবদ্ধতা আছে। এখানে তাও নেই। যেমন মানুষ কল্পনা করে বা স্বপ্ন দেখে আকাশে উড়বে, চাদে যাবে, মঙ্গল গ্রহে পৌছবে অথবা মহাকাশযানে করে ঐ দূরে তারার দেশে যাবে বা এমনও হতে পারে নিজের পাখা গজিয়েছে সেই পাখা দিয়ে সে উড়তে পারে। এগুলাে কল্পনা করা যায় বা কল্পনা করার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। কিন্তু এক্স ওয়ার্ল্ডের গল্প যে কল্পনাকেও হার মানায়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, আমি কি কল্পনার রঙে রাঙিয়ে বইটির পালিপি তৈরি করিনি? তবে কী করেছি? কিছুই করিনি? তাহলে এমন গল্প আমার মাথায় এল কী করে? সত্যিই তাে বইটি পাঠ করে যদি পাঠকদের মনে এ জাতীয় প্রশ্নের উদ্রেক হয় তখন কী হবে! তাই তাে আগেভাগেই বইটির সম্পর্কে কিছু কথা বলা প্রয়ােজন। প্রিয় পাঠকদের জানানাে দরকার, বইটি লেখা শেষ করে আমি নিজেই অবাক হয়েছি। এ কেমন কল্পনা আমার! এবার আসি বইটির ভেতরের কথায়। এক্স ওয়ার্ল্ড' মূলত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। এর শুরুটা এডভেঞ্চার প্রিয় আধুনিক পৃথিবীর কয়েকজন যুবক-যুবতীর সমুদ্র অভিযানের মধ্য দিয়ে হলেও ঘটনার আকস্মিকতায় ওই যুবক-যুবতীদের মধ্যে দুজন ‘এক্স ওয়ার্ল্ডে’ পৌছায়। তারা চোখ মেলে দেখতে পায় ‘এক্স ওয়ার্ল্ড' পৃথিবীর অভ্যন্তরেই এক স্থান। মহাসমুদ্রের বিশ কিলােমিটার গভীরে পানির নিচে সুবিশাল পরিকল্পিত উন্নত জনপথ। এখানে পৃথিবীপৃষ্ঠের উপরিভাগের মতাে নানাবিধ সুযােগ সুবিধা বিদ্যমান। যেমন- এক্স ওয়ার্ল্ডে বাড়ি-ঘর, দালানকোঠা, গাছপালা, আকাশ, নদী-লেক, পাহাড়-পর্বত বিদ্যমান। এখানকার অধিবাসী এক্স সদস্যগণ অতি আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক এক ধরনের উভচর প্রাণী। এ বুদ্ধিমান প্রাণীগুলাে হাঁটতে পারে আবার সাঁতার কাটতেও তারা পারদর্শী। এদিকে ‘এক্স ওয়ার্ল্ডে' প্রবেশের পর বেঁচে যাওয়া রয়েল-সুজানা সমুদ্রের বিশ কিলােমিটার গভীরের নগরী দেখে প্রথমে বিশ্বাসই করে না, এটা পৃথিবীর অভ্যন্তরের স্থান। কারণ পানির নিচে ভূগর্ভস্থ স্থানে আকাশ, নদী, লেক, পাহাড় থাকে কী করে! যাই হােক, তারপরও তারা ধীরে ধীরে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। রয়েল-সুজানা কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এক্স ওয়ার্ল্ডে দুজন একসাথে হাতে হাত রেখে হেঁটে বেড়ায়। তখনই শুরু হয় আরেক ঘটনা। রয়েল ও সুজানাকে ব্যবহার করে এক্স কর্তৃপক্ষ পৃথিবী দখলের পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে থাকে। এর পরেরটুকু নাহয় বইটি পড়েই জেনে নিন...
বদরুল আলম প্রতিভা সম্পন্ন একজন লেখক। সাহিত্যের বিভিন্ন মাধ্যমে তার সুচিন্তিত উপস্থিতি কবিতা, ছড়া, ছােটগল্প, উপন্যাসসহ বিবিধ লেখালেখিতে তার প্রতিভার ছাপ স্পষ্ট। জন্ম ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলার কাশিপুর ইউনিয়নে। তার পৈত্রিক নিবাস মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গেরচর গ্রামে। বাবা মরহুম আব্দুল মতিন মােল্লা একজন সরকারী চাকুরীজীবি ছিলেন। লেখক এক পুত্র সন্তানের জনক। বদরুল আলম সাহিত্যাঙ্গনে আবির্ভূত হন ৯০-এর দশকে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সঠিক সংবাদ পত্রিকায় ছােট গল্প “এবং প্রশ্ন” এর মধ্য দিয়ে। এরপর স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় তাঁর বহু গল্প, ধারাবাহিক উপন্যাস, ছড়া, কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে। লেখার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি “দেশ পাবলিকেশন্স পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০১৪” পেয়েছেন। ১৯৯০ সালে তিনি ঢাকা বাের্ড থেকে এস.এস.সি তারপর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবাের্ড থেকে সিভিলইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ডিপিডিসিতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। বাস্তব জীবনে একজন প্রকৌশলী হয়েও চাকুরীর পাশাপাশি সাহিত্য চর্চায় তিনি যথেষ্ট প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। তার লেখা বইয়ের সংখ্যা ১৩টি। এর মধ্যে সায়েন্স ফিকশন, কিশোর অ্যাডভেঞ্চার, শিশুতোষ গল্প, সমকালীন উপন্যাস, ছড়া বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলি রয়েছে।