"বাজি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: ছবিটা শেয়ারইট দিয়ে নিয়ে নাফি জুম করে দেখছে অবন্তিকে। অবন্তি সাজগােজ করেনি। একেবারেই সাদামাটাভাবে গিয়েছে। এর পেছনে দুটো কারণ থাকতে পারে। হয়তাে বেশি সাজগােজ করে বের হলে বাসায়। সন্দেহ করবে নয়তাে বেশি সাজগােজ করে। সে শিশিরের মাথা ঘােরাতে চায়নি। এমনিতেই ছেলেটার মাথা যথেষ্ট ঘুরে আছে। অবন্তি হয়তাে এটা ভালাে করেই জানে, “মধুতেই যে মরে তাকে আর বিষ দিয়ে মারতে নেই”। আপন মনে হাসে নাফি। যতােটুকু জানা গেছে, ওরা হাত-টাত ধরেনি। হতে পারে এটা ওদের ফাস্ট এক্সট্রা ম্যারিটাল ডেট আফটার ম্যারেজ তাই ওদের। মধ্যে একটু জড়তা কাজ করেছে। পরেরবার এই অস্বস্তি কেটে যাবে। নাফি নিজের ওপর নিজেই একটু অবাক হয়ে ভাবলাে আমি কেমন পুরুষ? নিজের স্ত্রীর প্রেমিককে আমি কত সহজে সহ্য করছি!! রামছাগলের মতাে বসে বসে নিজের স্ত্রীর প্রেম দেখছি। আসলে ঘটনাটা আমার কিভাবে দেখা উচিৎ? সন্দেহবাতিকগ্রস্থ স্বামী হিসেবে না উদারপন্থী স্বামী হিসেবে? পরক্ষণেই নাফি ভাবে ‘আমি তাে অবন্তির সত্যিকারের স্বামী না। কারাে সত্যিকারের স্বামী হওয়া আর স্বামীর রােল প্লে-করা -- এই দুটো ব্যাপারের মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। অতএব, আমি অবন্তি আর শিশিরের ব্যাপারটা এনকারেজ করে যাবাে। তাছাড়া বাজির ব্যাপারটা ভুলে গেলে চলবে না আমার। নাফি চায় অবন্তি আর শিশিরের প্রেমভাবটা জমুক।