চারপাশে বেড়ে ওঠা সামাজিক দেয়ালে আটকে আছি আমরা "ধার্মিক শ্রেণি"ও। পরিবেশ কিন্তু মোটেও ধর্মাবলম্বীদের অনুকূলে নয়। ধর্মীয় অনুশাসন-বিধিবিধান পালনে আমাদের পরিবারগুলোই-বা কতটুকু তৎপর ও কর্তব্যপরায়ন! নারী ও শিশু সবচে বেশি অসহায় ও অবহেলিত। সেকুলারিজম ও নারীবাদীরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কথা বলে মূলত নারীদেরকেই করছে উলঙ্গ ও অপদস্ত। ইসলামি মূল্যবোধ ও অনুশাসন না থাকলে কতটা বিপর্যস্ত ও পর্যুদস্ত হোন একজন নারী তা কেবল ভুক্তভুগীই জানেন। সামাজিক নানা বাধা-বিপত্তি ডেঙিয়ে ঐশী আদেশ পালনে নারীদের সংগ্রামের চিত্রই ফুটে উঠেছে বক্ষমান জেসমিনের চরিত্রে। লেখক তার মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন তার সাহসী কলম চালনায়। মানুষ মাত্রই ভুলের শিকার। তবে ভুলকে আশ্রিত করে বাঁচা এবং ভুল থেকে শিক্ষা না নেওয়া চরম বোকামি। তেমনি আমাদের 'নিশাত'ও প্রবৃত্তির ধোঁকায় পড়ে এবং ধর্মীয় জ্ঞান না থাকায় সমাজে বহমান অশ্লীল ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। ধুলোয় মিশিয়ে দেয় মা বাবার তিলে তিলে গড়া স্বপ্নের প্রাসাদ ও প্রতিষ্ঠিত মান-ইজ্জত। মেতে ওঠে রঙিন খেলায়৷ স্রষ্টার সীমাহীন করুণায় সরল পথের দিশা পায় নিশাত। ফিরে আসে অন্ধকার জগৎ থেকে। সান্নিধ্য পায় ঐশী আলোয় উদ্ভাসিত, কোরআনের সেবক, ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত, মাদরাসার গণ্ডিতে বেড়ে ওঠা তরুণ আলেম স্বামী ফাহাদের। সময় পাল্টে যায়। ঘুরে যায় জীবনের চাকা। জান্নাতী সুখ নেমে আসে ধরায়। লেখক স্বস্তি ফিরে পান সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে পরাজয় বরণ না করে যখন তৈরি হবে জেসমিন ও নিশাতের মতো দুইজন নয় হাজারো অপরাজিতা। বাংলার ঘরে ঘরে অন্যায় ও প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে তৈরি হোক অপরাজিতা নারীগোষ্ঠী। ইসলামি গঠনমূলক শিক্ষা এবং ধর্মীয় অনুশাসন বিধিবিধান পালনে হোক অপ্রতিরোধ্য ও আপসহীন। পাঠক, বেপর্দায় চলা আপনার বোনকে বইটি পড়তে দিন আশা করি আপনার বোন পর্দানশীন হয়ে যাবে। সামাজিক অবক্ষয় ও অনৈতিকতার জালে আটকে থাকা বোনটির হাতে তুলে দিন বইটি। সেও হয়ে ওঠবে অপরাজিতা। অপরাজয়ের গল্পের মধ্য দিয়ে তার মনেও সঞ্চারিত হবে সত্য ও সুন্দরের মনোভাব৷ পৃথিবী বইয়ের হোক। বইয়ের কথা ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে৷ আবদুল হান্নান হক প্রকাশক, আঁকশি প্রকাশন