হ্যাঁ একটি পারিবারিক উপন্যাস। দাম্পত্য-সংকট আর কাঁটা বিছানো পথে কন্যাসন্তানের বেড়ে ওঠার উপাখ্যান। মোহিত কামালের ‘না’ নামের যে উপন্যাস রয়েছে তার বিপরীত কথা বলবে ‘হ্যাঁ’। জীবনের শুভ ঘটনাকে ‘হ্যাঁ’ বলতে হবে। যথার্থ সময়ে ‘হ্যাঁ’ বলতে পারলে মনে যুতসই পরিবর্তন ঘটতে থাকে, আত্মবিশ্বাস বাড়ে। এই উপন্যাসের চরিত্রগুলোর যাপিতজীবনের আন্তঃসম্পর্ক ও কথামালার ভেতর দিয়ে জটিল দ্বন্দ্ব-সংঘাত, অবিশ্বাস-হানাহানি ‘হ্যাঁ’-এর উজ্জ্বল রোশনিতে আলোকিত হতে থাকে। সমকালীন জীবন-সংকটের জালে জড়াতে থাকে চরিত্রগুলো। ‘জীবন পুষ্পশয্যা নয়’- এ প্রবাদটিও অক্টোপাসের মতো ঘিরে রাখে তাদের জীবন। প্রমিত, মিতু ও তাদের শিশুকন্যা রোদ্দুরের মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা এ উপন্যাসের মূল উপজীব্য। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তৃতীয়জনের উপস্থিতিতে সৃষ্ট সংকট, মা-বাবা ও শিক্ষকের ভূমিকা, অফিসের চালচিত্র, পারিবারিক এবং সামাজিক বিপর্যয়। জীবন-স্রোতের চরিত্ররা কখনও ডোবে, কখনও ভাসে। ডুবে যাওয়া আর ভেসে ওঠার মূল কারণ ভুল বোঝাবুঝি, পারস্পরিক যোগাযোগের ঘাটতি ও সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়া। যন্ত্রণাময় এ জীবন-সাগরে তারা হাবুডুবু খেতে থাকে। অবশেষে তারা কি কূলে ভিড়তে পারে? সঠিক সময়ে ‘হ্যাঁ’ বলতে পারে জীবনকে? জীবনঘনিষ্ঠ এ উপন্যাস পাঠে তারই উত্তর পাবেন পাঠক।'
তিনি একদিকে কথাসাহিত্যিক, অন্যদিকে মনোশিক্ষাবিদ। ২০১৮ সালে কথাসাহিত্যে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। জাপানের ১২তম ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব সাইকিয়াট্রির ফেলোশিপ প্রোগ্রামে নির্বাচিত হন বিশ্বের প্রথম সেরা ফেলো। জন্ম ১৯৬০ সালের ২ জানুয়ারি সাগরকন্যা সন্দ্বীপে। এমবিবিএস করেছেন সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে। তিনি সাহিত্য-সংস্কৃতির মাসিক ’শব্দঘর’র সম্পাদক এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (এনআইএমএইচ)-এর একাডেমিক পরিচালক। ২০১২ সালে তাঁর মনস্তত্ত্ব বিষয়ক গ্রন্থ ‘মানব মনের উদ্বেগ ও বিষন্নতা’ কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য করা হয়।