কাল্পনিক গোয়েন্দা কাহিনী তো আমরা প্রতিনিয়তই পড়ি। কিন্তু জটিল এই পৃথিবীতে ট্রু স্পাই স্টোরির সংখ্যাই এতো বেশি, সেগুলো পড়তে গেলেই এক জীবন ফুরিয়ে যাওয়ার কথা। ফিকশনের তুলনায় নন ফিকশন স্পাই স্টোরি পড়ার মধ্যে বাড়তি এটা লাভ আছে। এর মাধ্যমে গল্পের পাশাপাশি আপনি ইতিহাসের একটা অংশও জানতে পারবেন। জটিল আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কেও কিছুটা ধারণা পাবেন। আর সেজন্যই আসছে মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা‘র প্রথম বই: “স্পাই স্টোরিজ: এসপিওনাজ জগতের অবিশ্বাস্য কিছু সত্য কাহিনী“। প্রতিটা কাহিনীই সত্য ঘটনা অবলম্বনে, এবং প্রতিটাই কাহিনীর বর্ণনাই শ্বাসরুদ্ধকর। মোট ছয়টা গল্প রাখা হয়েছে বইটাতে। প্রতিটা গল্পের দৈর্ঘ্য গড়ে হাজার পাঁচেক ওয়ার্ডের মতো। এরমধ্যে চারটা গল্পই নেওয়া হয়েছে মূলত প্রশংসিত কিছু নন-ফিকশন থ্রিলার থেকে। আর বাকি দুইটা গল্প লেখা হয়েছে বিভিন্ন ডকুমেন্টারি, আর্টিকেল, লিকড ডকুমেন্টস থেকে তথ্য নিয়ে। সংক্ষেপে বলতে গেলে “স্পাই স্টোরিজ“-এ একই বইয়ের ভেতর আপনি পাচ্ছেন ছয়টা শ্বাসরুদ্ধকর সত্যিকার এসপিওনাজ কাহিনী, যেগুলোতে মূল বইয়ের থ্রিলিং অংশের আমেজ বেশ ভালোভাবেই উঠে এসেছে, কিন্তু যেগুলোতে বইয়ের বাহুল্য অংশগুলো থাকছে না।
Title
স্পাই স্টোরিজ : এসপিওনাজ জগতের অবিশ্বাস্য কিছু সত্য কাহিনি
জন্মসূত্রে বাংলাদেশী হলেও বাবার চাকরিসূত্রে ছোটবেলা থেকেই বসবাস করছেন লিবিয়াতে। পড়াশোনা সেখানকার বাংলাদেশী স্কুলে, পরবর্তীতে সিরত ইউনিভার্সিটিতে। পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু সবসময়ই পছন্দ করেছেন নিজে নতুন কিছু জেনে অন্যদের তা জানাতে। তাঁর শখও কেবল একাডেমিক বিষয়াদির মাঝে সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং তা ছড়িয়ে আছে ইতিহাস, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, তথ্যপ্রযুক্তির মতো নানাবিধ ক্ষেত্র জুড়ে। ২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ দেখেছেন খুব কাছ থেকে, হয়েছেন এর ভয়াবহতার শিকারও। এসব বিষয় তাঁর মনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। ফলশ্রুতিতে তাঁর লেখালেখিতে প্রায় সময়ই উঠে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি ও ইতিহাসের কথা। নিয়মিত লেখালেখি করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একাউন্টে, অনলাইন মিডিয়া রোর বাংলায়, এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রপত্রিকাগুলোতে। ‘প্রেসিডেন্ট মুরসি’ শিরোনামের এক সংকলন বইয়ে স্থান পেয়েছে তাঁর দুটি লেখা। সামনের দিনগুলোতে ইতিহাস ও রাজনীতির চমকপ্রদ সব বিষয় নিয়েই লেখালেখির ইচ্ছে গুণী এই তরুণ লেখকের, ইচ্ছে নিজের অর্জিত জ্ঞানকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার।