"মুক্তিযুদ্ধে আট নম্বর সেক্টর" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: বীর যুদ্ধাহত মুক্তিযােদ্ধা কর্নেল (অব.) মােহাম্মদ সফিকউল্লাহ্, বীর প্রতীক এর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৬ অক্টোবর। জেলা : কুমিল্লা, থানা : চান্দিনা, ইউনিয়ন : যােয়াগ, গ্রাম : কৈলাইন-এর সম্রান্ত এক মুসলিম জমিদার শিক্ষিত আলেম পরিবারের সন্তান । ১৯৫১ সালে স্কুল জীবনে বন্দুক হাতে নেয়া যােদ্ধার বাস্তব পরীক্ষা ১৯৭১-এর রণাঙ্গনে। তিনি ৮নং সেক্টর ‘ই’ কোম্পানিসহ ৫নং গেরিলা ইউনিট কমান্ড করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ যােদ্ধাহত অফিসার “বীর প্রতীক” খেতাবে ভূষিত হন। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের বাংলার অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সেনাসদর, চীফ ইন্ট্রাক্টর, আর্মি স্কুল অব এডমিনিষ্ট্রেশন, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি, ২৪ পদাতিক ডিভিশন, আর্মি স্কুল। অব এডুকেশন এন্ড এডমিনিষ্ট্রেশন এর মত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৯৬ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনােলজি (আইইউবিএটি)-তে প্রথম ট্রেজারার পদে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। অনুকরণীয় সততা ও চারিত্রিক দৃঢ়তার অধিকারী এই বীর মুক্তিযােদ্ধা বাংলা একাডেমীসহ বিভিন্ন বিদ্বতসংঘের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন।
কর্নেল (অব.) মােহাম্মদ সফিক উল্লাহ’র জন্ম। ১৯৪১ সালের ২৬ অক্টোবর। জেলা : কুমিল্লা, থানা : চান্দিনা, গ্রাম : কৈলাইন-এর সম্রান্ত এক মুসলিম জমিদার পরিবারের সন্তান। ১৯৫১ সালে স্কুলজীবনে বন্দুক হাতে নেয়া যােদ্ধার বাস্তব যুদ্ধ পরীক্ষা হয় '৭১-এর রণাঙ্গনে। ৮নং সেক্টর-এর ‘ই’ কোম্পানিসহ ৫নং গেরিলা ইউনিট কমান্ড করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সাফল্য ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যােদ্ধাহত অফিসার বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে বাংলার অধ্যাপক হিসাবে কর্মজীবন শুরু হয়। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সেনাসদর, বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি, ২৪ পদাতিক ডিভিশন, আর্মি স্কুল অব এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসরগ্রহণের পর আই.ইউ.বি.এ.টি.তে ট্রেজারার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলা একাডেমিসহ বিভিন্ন বিদ্বত সংঘের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই মুক্তিযুদ্ধে বাংলার নারী (২০০৩), দ্বিতীয় প্রকাশিত বই একাত্তরের রণাঙ্গন : গেরিলাযুদ্ধ ও হেমায়েতবাহিনী। তিনি ৩১ মার্চ ২০০৮ সালে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকা সেনানিবাসে মৃত্যুবরণ করেন।