পূর্ববঙ্গের প্রথমমুদ্রিত গণমাধ্যম রংপুরের রঙ্গপুর বার্ত্তাবহ। তা প্রকাশিত হয় ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে। এর ১৮ বছর পর ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে বৃহত্তর ময়মসিংহ থেকে সাময়িকপত্র বেরোতে শুরু করে। শিক্ষা বিস্তার, সমাজ ও ধর্মীয় সংস্কার, মানবতাবাদী সাংস্কৃতিক চেতনায় উব্দুদ্ধ হয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহে সাময়িকী ও সংবাদপত্র প্রকাশের উদ্যোগ সৃষ্টি হয়েছিল। রক্ষণশীল হিন্দু সমাজ সংস্কারপন্থীদের প্রতিরোধ গড়তেও সাময়িকী ও সংবাদ প্রকাশ করে। এভাবেই শুরু হয় বৃহত্তর ময়মনসিংহে সাময়িকী ও সংবাদপত্র প্রকাশের পথযাত্রা। এ গ্রন্থে উনিশ শতকের প্রায় মধ্যভাগ (১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দ) থেকে পুরো বিশ শতকে প্রকাশিত বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাময়িকী ও সংবাদপত্রের তথ্যভিত্তিক বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। গ্রন্থের প্রথম দিকে উনিশ শতকে বৃহত্তর ময়মনিসংহে হিন্দু সমাজের সংস্কারপন্থী ও রক্ষণশীলদের সামাজিক অবস্থার পাশাপাশি সাময়িকী ও সংবাদ মাধ্যমের ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। পর্যালোচনা করা হয়েছে উনিশ শতকে মুসলমানদের সামাজিক চিত্র ও ধর্মীয় মতাদর্শ প্রচারে সাময়িকী ও সংবাদপত্রের ভূমিকা সম্পর্কে। গ্রন্থটি পাঠে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাময়িকী ও সংবাদপত্র সংক্রান্ত তথ্য পাঠকদের চাহিদা পূরণ করবে। চিন্তক গোষ্ঠী সন্ধান পাবেন বৃহত্তর ময়মনসিংহের অতীত সমাজ ব্যবস্থা, সাহিত্যের নানা বিষয়-সূচির।
Ali Ahmod Khan Ayoub-এর জন্ম ১৯৬০ সালের ৭ মার্চ (২৪ ফালগুন ১৩৬৬ বঙ্গাব্দ, সােমবার) নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলাধীন খলিশাপুর গ্রামে। পিতা: মরহুম কদর উদ্দিন খান, মাতা: মরিয়মের নেছা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কাজ করেছেন দু’যুগ। প্রখ্যাত সাহিত্যিক খালেকদাদ চৌধুরী সম্পাদিত ‘উত্তর আকাশ সাময়িকপত্রের দ্বিতীয় পর্বে তিনি সম্পাদক ছিলেন। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের অনেক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। উদ্ধার করেছেন বিস্মৃতপ্রায় সাময়িকপত্র- ‘ভারত মিহির’ (প্রকাশকাল-১৮৭৫খ্রি:), সৌরভ (প্রকাশকাল-১৯১৩ খ্রি:), রাণীখং মিশন চিঠি’ (প্রকাশকাল-১৯৪১ খ্রি:), নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যে্যর ‘শিশু রঞ্জণ রামায়ণ’(প্রকাশকাল-১৮৯৫), কালীদাস রায়ের ‘ছেলেদের রামায়ণ' (প্রকাশকাল-১৯০৪খ্রি:), কেদারনাথ মজুমদারের উপন্যাস ‘চিত্র’ (প্রকাশকাল-১৯০৪ খ্রি:)। ইতিমধ্যে তাঁর ৭টি গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে ‘ময়মনসিংহে রবীন্দ্রনাথ’ শিরােনামে একটি গবেষণা পাণ্ডুলিপি। ব্যক্তি জীবনে তিনি দু'মেয়ে ও এক ছেলের জনক। স্ত্রী শাহিদা আক্তার শাহাভীন গৃহিণী।