"স্মৃতিমঞ্জুষা" ফ্ল্যাপে লেখা কথা: পাঁচদোনার ইন্দ্রভূষণ সেনের মেয়ে প্রিয়বালা গুপ্তা। খুব ছােট বয়সেই মাধবদী রায় বাড়ির পুত্রবধূ হয়ে আসেন। রায় পরিবার তকালীন সম্রান্ত রক্ষণশীল হিন্দু পরিবার হিসেবে গণ্য ছিল। সেই চল্লিশের দশকেও মাধবদী অঞ্চলে নারীদের শিক্ষার আলাে জ্বলে ওঠেনি। সে সময় রক্ষণশীল সম্রান্ত পরিবার তাে দূরের কথা, নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েদেরও বাড়ির বাইরে বের হওয়াটাই ছিল দুঃসাধ্য। নিজে খুব বেশি লেখাপড়া করতে পারেননি। ছিল না তার কোনাে ডিগ্রি। তবু শ্বশুরালয় পরিবারের কঠিন আবরণ ভেদ করে নারী শিক্ষার বিষয়ে সাহসী পদক্ষেপ গড়ে তােলেন। ১৯৪০ সালে “মাধবদী শিশু বিদ্যানিকেতন” নামে মেয়েদের স্কুল চালু হয়। বর্তমান যে জমিদার বাড়ি বলে আমরা চিনি সে বাড়ির লাগােয়া পূর্ব দিকের রায় বাড়িতেই এই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রিয়বালা গুপ্তা ছিলেন এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। মাধবদী অঞ্চলে নারী শিক্ষার আলাে তাঁর হাত ধরেই জ্বলে ওঠে। তিনি ছিলেন ভাই গিরিশচন্দ্র সেনের নাতনী। সত্যি বলতে এমন মহীয়সী নারীর পরিচয় সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করার সাধ্য বা যােগ্যতা কোনােটাই আমার নেই। ‘স্মৃতিমঞ্জুষা' পড়ে পাঠকবৃন্দ তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছি।