আমাদের সমাজে এমন অনেক মানব হিতৈষী গুণীজন ছিলেন যাঁরা তাঁদের কাজের মাধ্যমে সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রভূত অবদান রেখে গেলেও আজ তাঁরা প্রায় বিস্মৃতির আড়ালে। অথচ আমরা সবাই তাঁদের কাজের ফসল প্রতিনিয়ত ভোগ করে চলেছি। যুগে যুগে এসব গুণীজন মানুষের হিতসাধনের জন্য নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি কখনও বিবেচনায় আনেননি। মানব কল্যাণে তাঁদের এক জীবনের যে বিপুল কর্মযজ্ঞ তা পরিমাপ করাও সহজ কর্ম নয়। ব্যতিক্রমী আট-এ জয়নাল হোসেন সেই দুঃসাধ্য কাজটি সম্পন্ন করেছেন। আশা করি পাঠক এতে তাঁদের সম্পর্কে মূল্যবান কিছু কথা জানতে পারবেন।
জয়নাল হোসেন
১১ই আগস্ট ১৯৫৩। তালেব হোসেন তাঁর পিতা, মাতা মাফেজা খাতুন। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কুড়েরপাড় গ্রামে জন্ম। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ হতে ১৯৭৭ সালে কৃষিতে স্নাতক পাস করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককস্থ মহিডোল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুষ্টি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিণ গ্রহণ করেন। তিনি কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। এই সুবাদে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়িয়েছেন, পাশাপাশি সংগ্রহ করেছেন ইতিহাসের হারিয়ে যাওয়া অনেক ঘটনাবহুল তথ্য-উপাত্ত। বর্তমানে অবসরে লেখালেখিতে ব্যস্ত। ইতিহাস ও ঐতিহ্য সন্ধানে ঘুরে বেড়ানো, নতুন কিছু দেখা এবং লেখা তাঁর নেশা। তাঁর উল্লেখযোগ্য বই : রাজা ভাওয়াল সন্ন্যাস ও ভাওয়াল পরগনা (২০০৮), ঠাকুর শম্ভুচাঁদ জীবনীগ্রন্থ (২০০৩), শৈলসমুদ্র সান্নিধ্যে (২০০৩), মাথিনের কূপ (২০১২)।
Jaynal Hossain- একজন কৃষিবিদ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। কুমিল্লার মুরাদনগরের কুড়েরপাড় গ্রামে ১৯৫৩ সালের ১১ই আগস্ট তাঁর জন্ম। পিতা তালেব হোসেন, মাতা মাফেজা খাতুন। বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে এসএসসি, শ্রীকাইল কলেজ থেকে ১৯৭২ সালে এইচএসসি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে ১৯৭৭ সালে কৃষি অনুষদ থেকে ডিগ্রি নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। চাকরিকালে থাইল্যান্ডের মহিডোল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অভ নিউট্রিশন থেকে পুষ্টির ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর জীবন সদস্য এবং বাংলাদেশস্থ জাতিসংঘ সমিতির সদস্য। তাঁর রচিত বই: মুর্শিদাবাদ থেকে মধুপুর (২০০০), প্রমিত দৃষ্টিপাত (২০০১), সমুদ্রনন্দিনী কুতুবদিয়া: ইতিহাস ও বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত (২০০২), ঠাকুর শম্ভুচাঁদ (২০০৩), শৈলসমুদ্র সান্নিধ্যে (২০০৩), মেঘের মায়াবী চোখ (২০০৭), রাজা ভাওয়াল সন্ন্যাস ও ভাওয়াল পরগনা (২০০৯), পুণ্যের ঘরে শূন্য দিয়ে: ব্যতিক্রমী আট (২০১২), ধীরাজ ভট্টাচার্য ও তাঁর প্রেম উপাখ্যান: মাথিনের কূপ (২০১২), মানবপুত্র গৌতম: ধর্ম ও জীবনাচার (২০১৩), উইলে চার টাকা দুই আনা: সম্রাট আওরঙ্গজেবের ভিতর-বাহির (২০১৩), প্রাঙ্গণে মোর: টোকা ডায়েরির পাতা থেকে (২০১৪)