আজকাল অল্পতেই ভীষণ ক্লান্ত লাগে তার। খাঁচায় বন্দি পাখিটা তার উপস্থিতি টের পেয়ে ডানা ঝাপটাতে থাকে। ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে, খাঁচায় পাখি পােষা তারা পছন্দ করে না। বহুবার মনে করেছে মুক্ত করে দেবে, তবুও শেষ পর্যন্ত আর হয়ে ওঠে না। বড় মায়া পড়ে গেছে। কতদিন খাচার দুয়ার খােলা রেখে পাশে বসে থেকেছে সে, পাখিটা স্বেচ্ছায় যদি চলে যায় তাে যাক । পাখিটাও খাঁচা ছাড়েনি। মানুষের মতাে পাখিরাও বুঝি অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। পাখিদের চোখেও কি মানুষের চোখের ভাষা ধরা পড়ে! পাখি নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তারা কি এই বিষয়টি আবিষ্কার করতে পেরেছেন!
যেকোনাে বই। মায়ের বই পড়ার স্বভাব পেয়েছে । কেমন চাপা স্বভাবের হয়েছে মেয়েটা। মুখ ফুটে কিছু চায় না কখনাে। সেদিনের ছােট মেয়েটা কেমন। চোখের সামনে বড় হয়ে গেল । একটা ভালাে পােশাক নেই তার। মেয়েদের এই বয়সে কত সাধ-আহ্লাদ থাকে! বাবা হয়ে বুকে ব্যথা লাগে। কখনাে নতুন বই তার কপালে জোটেনি । কাকাতাে ভাই তার এক ক্লাস উপরে পড়ে, তার পুরানাে বই পড়েই প্রতি বছর ভালাে রেজাল্ট করেছে। প্রতি মাসেই মনে করে মাসের বেতনের টাকায় মেয়েটাকে দুটো ভালাে জামা কিনে দেবে, কিন্তু আর হয়ে ওঠে না। তােকে যে কখন বললাম মিতুকে খুঁজে নিয়ে আয়। এখনও বই নিয়ে পড়ে আছিস! বেলা গড়িয়ে গেল এখনও বাড়ি আসল না মেয়েটা। বড্ড বেড়েছে। আজ আসুক।