ফ্ল্যাপে লিখা কথা মতবাদ সম্পর্কে বক্তৃতা প্রদান করেন । মিনদানাও স্টেটের গভর্নর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট তাঁর বক্তৃতাদানের জন্য তাকে সম্মানজনক সমদপত্র প্রদান করেন। ১৯৮৫ সালেই তিনি জাপানের ওকাইমা ফোকলোর সোসাইটির আমন্ত্রেণে সেখানেও অন্যান্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাউল ও ফোকলোর বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন।১৯৭৩ সাল থেকে শুরু হয় অদ্য বদি তিনি ভারতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্জরী কমিশনের আর্থিক অনুদানে পল্লী উন্নয়নে রবীন্দ্রনাথের অবদান বিষয়ে গবেষণাকর্মের জন্য বিশ্ব ভারতীতে শ্রী নিকেতন পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট৫ ছিলেন। সম্প্রতি কলকাত বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাউল বিষয়ে নতুন তত্ত্ব প্রদানের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন ।
ড. আনোয়ারুল করীম ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে জাতীয় দেষ্টা কমিটির একজন সম্মানিত সদস্য ছিলেন। তিনি লালন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং ফোকলোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কুষ্টিয়ার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি দীর্ঘ আট বছর আমেরিকাস্থ International Folk Music Council-এর Liaison Officer হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে সম্মানিত হন। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত একাডেমিক কাউন্সিল এবং ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে সুপার নিউমারারি শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। ২০০৪ সালের ৩ এপ্রিল থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রফেসর করীম ইংরেজী ৪টি ও বাংলা ১৮ টি গবেষণা গ্রন্থের প্রণেতা। এ ছাড়াও তিনি ইংরেজীতে ফোকলোর বাংলায় লোকঐতিহ্য নামে দুটি গবেষণা পত্রিকা সম্পাদনা করে আসছেন। তাঁর বহু লেখা বিদেশী পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যা ও দুই পুত্রের জনক। স্ত্রী সৈয়দা আমেনা করীম কুষ্টিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অবসরপ্রাপ্ত বাংলা বিভাগীয় প্রধান এবং বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, কুষ্টিয়া শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী। -সুলতানা আফরোজ
ড. আনোয়ারুল করীম ১৯৩৮ সালের ২৩ অক্টোবর, বাংলা ৮ কার্তিক ১৩৪৫ যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার লাউড়ি গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস কেশবপুর উপজেলার কড়িয়াখালি গ্রামে। পিতা মরহুম মৌঃ করীম বখশ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় শিক্ষাকাল, শৈশব ও কৈশোর কাটে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। যশোর জিলা স্কুল থেকে ১৯৫৫ সালে ম্যাট্রিক, কলেজের শিক্ষা কুষ্টিয়া এবং উচ্চ শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬২ সালে ইংরেজিতে এম.এ. এবং ১৯৭৭ সালে বাংলায় পিএইচ-ডি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনিই সর্বপ্রথম বাউল বিষয়ে পিএইচ-ডি লাভ করেন। তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে অধ্যাপনায় যোগ দেন ১৯৬২ সালে। ১৯৭১ সালে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে কুষ্টিয়ার স্বাধীন বাংলা সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী ও শিল্পী সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন ও সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে ভারতে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন মাস অবধি ফোকলোর ও বাউল বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন। ১৯৮৫ সালে হার্ভার্ডে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে যোগ দেন। সেখানে বিশ্বনন্দিত প্রফেসর এ্যানমেরি শিমেল-এর তত্ত্বাবধানে সুফি-বাউল এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে গবেষণা। এ সময়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগে Shamanism in Bangladesh Ges Divinity School-এর Center for the Study of World Religion-এ রবীন্দ্রনাথও বাংলা বিষয়ে বক্তৃতা করেন। মিনদানাও স্টেটের গভর্নর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট তাঁর বক্তৃতাদানের জন্য তাকে সম্মানজনক সনদপত্র প্রদান করেন। ওই সালেই তিনি জাপানে ওকাইমা ফোকলোর সোসাইটির আমন্ত্রণে সেখানেও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাউল ও ফোকলোর বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন। সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাউল বিষয়ে নতুন তত্ত্ব প্রদানের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। ড. আনোয়ারুল করীম ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির একজন সম্মানিত সদস্য ছিলেন। তিনি লালন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং ফোকলোর রিচার্স ইনস্টিটিউট, কুষ্টিয়ার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি দীর্ঘ আট বছর আমেরিকাস্থ International Council for Traditional music-এর Liaison Officer হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে সম্মানিত হন। তিনি ১৯৯৬ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে অবসরে যান এবং ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, ট্রেজারার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে কাজ করেছেন। প্রফেসর করীম ইংরেজি ও বাংলা বিষয়ে নানা গবেষণা গ্রন্থের প্রণেতা। তিনি বর্তমানে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ খুলনা ক্যাম্পাসের ইন-চার্জ এবং ইংরেজি বিভাগের প্রধান।