কেন বইটি আপনার সংগ্রহে রাখবেন দিনকে দিন আমরা পরিবেশ নষ্ট করে যাচ্ছি, আমাদের পরিবেশ সুন্দর রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তবে বর্তমানে পৃথিবীর পরিবেশ আমরা নিজেরাই বিভিন্ন ভাবে নষ্ট করে দিচ্ছি এবং তৈরি করছি নতুন সকল সমস্যা, যার সমাধান আমাদের জানা নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি বিলুপ্ত হচ্ছে আমাদের ভুলের কারনে। ইকোসিস্টেম এই সকল সমস্যার সমাধান দিচ্ছে, ইকোসিস্টেম হল পরিবেশের প্রতিটা বস্তুর একে অপরের সাথে নির্ভরশীল থাকা। এই নির্ভরশীলতার কারনে পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ বস্তুর বিলুপ্তি আমরা রোধ করতে পারি। সুতরাং আমরা সহজেই বুঝতে পারছি আমাদের নিজেদের অনুকুলে পরিবেশ দরকার বেচে থাকার জন্য, সেজন্য উদ্যোক্তার বেচে থাকার জন্য উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেম তৈরি, আর এইটি একদিনে বা একজন তৈরি করতে পারবে না। তার জন্য দরকার সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ। আর এই নিয়ে আমাদের “বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেম ও ভবিষ্যৎ” বইটি প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে বিভিন্ন প্রবন্ধ , জার্নাল, ব্লগ ও সফল ব্যক্তিদের বিভিন্ন উক্তি, সমালোচনা সংযোজন ও অনুকরন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে ইকোসিস্টেম ব্যবহার করে স্টার্টআপ এর পরিবেশের ক্ষতি রোধ করা যায় সাথে সাথে এটাও জানতে পারবেন ব্যবসায় কিভাবে ইকোসিস্টেম ব্যবহার করে ব্যবসার প্রসার করা যায়।
মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান, একজন তথ্য প্রযুক্তিবিদ উদ্যোক্তা। নিজের সফটওয়্যার ব্যবসার পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে নিজেকে বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত রেখেছেন, সাথে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্যোক্তা কমিউনিটি ডেভেলপ করার জন্য। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ও এমবিএ শেষ করে শিক্ষকতা করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে থেকে টেলিকম, ফিনটেক এবং সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকুরীর অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুকে নিয়ে নিজেই গড়ে তুলেছেন নিজের সফটওয়ার কোম্পনি নেক্সক্রাফট লিমিটেড যা এখন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টেকনোলজি পার্টনার হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। তার নিজের ৩টি স্টার্টআপসহ মেন্টরিং করছেন বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ এ। এছাড়াও আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ নামে একটি ন্যাশনাল আইসিটি শিক্ষা ও প্রতিযোগিতামূলক বেইসড প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে আইসিটি শিক্ষাকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ব্যবসা ও সামাজিক কার্যক্রমের পাশাপাশি তিনি উদোক্তাদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন অনট্রাপ্রেনিওরস ক্লাব অব বাংলাদেশ যেখানে প্রায় ৬০০+ জন উদ্যোক্তা রয়েছে। স্বপ্ন দেখেন অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী একটি বাংলাদেশ যেখানে আন্তর্জাতিকভাবে প্রযুক্তির মেধা বিক্রয় হবে, শ্রম নয়।