তুমুল রোদের বন,ঝাঁ ঝাঁ দিন,কোথাও বা তীব্র অন্ধকার-ভাবনার এমনই কঠোর শাসন পঙক্তিতে পঙক্তিতে:যে গভীরতা ছিল না সত্তরের কবিতার স্লোগানে,প্রভূত প্রবহমান উক্তিতে।তিনি তুলে ধরলেন গভীরের ময়ূরপুচ্ছ-ভাবনা যেন নেচে উঠলো ছন্দে-আনন্দে অথবা আড়ালে গিয়ে জানালো-দেখো,আমিই অলংকার!কথার এই চমৎকার সম্ভাবনা নিজের কবিতায় অভাবনীয় বিস্তার করেছেন কবি খান শফিকুল মান্নান।অথচ আশির দশকের শুরুতে,সবে তখন বোধের ব্যাপকতা কবিতায় ক্ষীর বাঁধতে শুরু করেছে,সবে চৈতন্য ধরা দিচ্ছে ভাবনার অন্তর্নিহিত রসায়নে,সেই সময়েই তিনি প্রচণ্ড প্রদ্যুম্ন-জ্বলে উঠেছেন উক্তির অম্লানে এবং তিনি সেই স্মার্টনেসধারী,এগিয়ে চলছেন সময়ের আগে।যদি সত্তর কিংবা আশির দশকের স্রোত সম্ভাবনা বিচার হয় তবে এটা বলা অত্যুক্তি হবে না যে খান শফিকুল মান্নান থাকবেন প্রথম সারিতে,একেবারে সবার সামনে।এই অতি নিভৃতচারিী,বাংলা কবিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার মানুষটা কুড়িতেই ঝরে গেলেন।১৯৮২ সালটা আজ থেকে অনেক দূরে-সে-বছরই স্তিমিত হয়ে গেল আমাদেরে কবিতার এক উজ্জল সম্ভাবনা।আশা করি,তিন যুগ পার হলেও তার আধুনিক ভাষা,ভাবনা,ব্যাপ্তিবোধ ফের নাক্ষত্রিক দ্যুতিতে জ্বলে-উঠবে।চেনাবে,কবিতার পথ তখনও এতটা উঁচুতে ছিল ,কবিতা তখনও ছিল ভাবনার সমান সুন্দর। -চন্দন চৌধুরী