'স্মৃতির রাজ্য থেকে' বইটি স্মৃতিচারণ মূলক। এখানে লেখক ১৯৭০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত নিজের জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বর্ণনা করেছেন।যখন তার বয়স ষোল কি সতেরো এর মধ্যে।এসময়ের মধ্যে ঘটেছে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন।নির্বাচনে জয় করা সত্ত্বেও পশ্চিম পাকিস্তানীদের ক্ষমতা দখল।বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যুগান্তকারী ভাষণ,দেশের আপামর জনতার বঙ্গবন্ধুর একডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ,পশ্চিম পাকিস্তানীদের বঙ্গবন্ধুকে হরণ।এরপর লেখকের বাবার সপরিবারে ভারতে যাওয়া,এবং সেখানে দু:সহ জীবন যাপন,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাবার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং সেই সুবাদে ভারতের বেলেনিয়ায়' ইয়থ' ক্যাম্পে যোগদান।নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালিত্ব, সাধারণ মানুষের শিক্ষা এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জনের নিমিত্তে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়।এরপর ফেলে যাওয়া বাস্তুভিটায় ভারত থেকে পশ্চিম পাকিস্তানী ও ওদের অত্যাচারের চিহ্ন দেখা।পরে লেখিকার বাবার অনুন্যোপায় হয়ে জীবিকার সন্ধানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে চাকরি লাভ,সেখানে তাদের পরিবারের সবার নতুন জীবন শুরু এবং সেখানকার স্কুল-কলেজে পড়ালেখা করার সুযোগ।এরমধ্যে শিশু বাংলাদেশে আরও কিছু হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে যায়।বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা,সামরিক শাসন এবং জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ড।এসব ,মিলিয়ে লেখকের কিশোরী মনে যে তোলপাড় সৃষ্টি হতো তাই মাঝে মাঝে ডায়রিতে লিখে রাখতেন।আর সে থেকেই এই স্মৃতিচারণ মূলক বইটি লেখার জন্য উদ্বুদ্ধ হওয়া। আশা করি বইটি পাঠকের ভালো লাগবে।