শান্তি মুক্তির তোরন।কাজেই শান্তি স্হাপন ব্যতীত কেহই মুক্ত হতে পারে না। জাগতিক মানুষ শান্তি কামনা করে নিজে অশান্তির যথাযথ কারণ হয়েই। এই দ্বান্দ্বিকতা তার মুক্তির গন্তব্য না জানা এবং কর্ম ও আদর্শের বৈপরীত্য। সৃষ্টির প্রতি মোহোৎপাদী মন শান্তির বদলে অর্জন করে দুঃখ-সুখ-দুঃখের অবিরাম জ্বালাময়ী প্রবাহ এবং অকৃতকার্য ও ধ্বংসাত্মক মৃত্যু। অন্যদিকে ভোগবাদী সমাজ ব্যবস্হা ব্যক্তির আদর্শ ও আদর্শিক কর্ম সমূহকে গ্রাস করে ফেলে পুজিবাদের হীন কৌশলে। পুঁজিবাদ মানুষেমানুষের মেধা মনন ও শ্রমকে শোষণ করে যেমন বনসাই করে রাখে সাম্রাজ্য রক্ষার তাগিদে, তেমনি মানুষের মন্যুষত্ত্বকে ধ্বংস করে দেয় অনুরূপভাবে।এ কারণেই মুক্তির উদ্দেশ্য শান্তি স্হাপন অত্যন্ত জরুরি যা গুনীতান্ত্রিক ব্যবস্হার মাধ্যমেই সম্ভব। শান্তিবাদ প্রতিষ্ঠার গুনীতান্ত্রিক আন্দোলন সকল কালেই প্রতিষ্ঠিত প্রসংসিত ব্যক্তিত্তের ধারা দ্বারাই হয়ে থাকে,কিন্ত আমরা সাধারন মানুষ তা বুঝি না এবং গ্রহনও করি না। ফলে শান্তিবাদ অধরাই থেকে যায়। ফলে,নিঃসন্দেহে মানব সমাজ ভয়ংকর মানবিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব বলা হলেও বাস্তবে মানুষ সেই শ্রেষ্ঠত্বের বিপরীতে ধাবিত হয়ে আপন অস্তিত্ব ও সৃষ্টির প্রতি সহিংস,নিকৃষ্ট এবং হিংস্র রূপে নিজেকে পতিত করছে। কেন মানব জাতির এই দূর্দশা এবং কিভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে সেই উত্তর খোঁজা হয়েছে শান্তি দর্শনে। বিজ্ঞ পাঠক সকল দৈনতা ও ভুলকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে সংশোধন করার পরামর্শ দানে বাধিত করবেন, এই আশাবাদ রাখি।