"ট্রেন টু কাশ্মীর" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: ‘ট্রেন টু কাশ্মীর’ মূলত ভ্রমণকাহিনি। কাশ্মীর গিয়ে আমার যে পরিমাণ পাগলামি শুরু হয়েছিল, তার কিছু ছিটেফোঁটা আমি চেয়েছি পাঠকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে। কিন্তু আমি কতটা সফল, তা বরং পাঠকরাই বিচার করুক। পুরাে লেখাটা লেখাই হয়েছে মনের শান্তির জন্য। কাশ্মীরের সৌন্দর্য বর্ণনা না করতে পারলে আমি সত্যি মনে শান্তি পাচ্ছিলাম না। আমি এখানে আরও একটা কাজ করেছি। এক কাশ্মীরি কন্যাকে নিয়ে গল্প বলার চেষ্টা করেছি। যার নাম ফারহিন শাহ। ইচ্ছে ছিল ভ্রমণকাহিনির পাশাপাশি উপন্যাসের আমেজও থাকুক। সেটা আদৌ করতে পেরেছি কিনা তাও আমি জানি না। কারণ বইটি আমি লিখেছি মাত্র কয়েকদিনে। তবে মজার বিষয় হলাে কাশ্মীরি কন্যা ফারহিন শাহ’র গল্পটা নিয়ে আমি খুব এক্সাইটেড। কারণ এটা নিয়ে হয়ত অনেকেই প্রশ্ন তুলবেন। অনেকেই জিজ্ঞেস করবেন কাহিনি কি সত্য না মিথ্যা। আমি এই প্রশ্নের উত্তর পাঠকের ওপর ছেড়ে দিতে চাই। যারা সত্য ভাবলে আনন্দ পাবেন তাদের জন্যে এটা সত্য, আর যারা মিথ্যা ভেবে আনন্দ পাবেন তাদের জন্যে এটা মিথ্যা। কাশ্মীরের পাশাপাশি আমি আরেকটা দেশের কথা বলবার চেষ্টা করেছি। আর সেই অসম্ভব সুন্দর দেশ হলাে ভুটান। ভুটানে আহামরি তেমন কিছুই নেই। তবুও ভুটানের প্রকৃতি এত বেশি সুন্দর যা যেকোনাে মানুষকে কবি-সাহিত্যিক বানিয়ে দিবে।
মশিউর রহমান শান্ত`র মিডিয়ায় পথচলা শুরু ২০১০ সালে একুশে টেলিভিশনে মুক্ত খবরে রিপোর্টার এবং প্রেজেন্টার হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে। শিশুতোষ রিপোর্ট এবং প্রেজেন্টেশন সবমিলিয়ে একুশে টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের সংখ্যা ১৭৬টির বেশি। দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক কালেরকন্ঠ, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশসহ পত্রিকায় লেখা ফিচারের সংখ্যা দুইশতাধিক। ছোটগল্প লিখেছেন ৪২ টি যার মাঝে ৮টি গল্প প্রকাশ হয়েছে ভারত থেকে। বর্তমানে একুশে টিভির মুক্ত খবরে রিপোর্টার এবং প্রেজেন্টার থাকার পাশাপাশি আরজে হিসেবে কর্মরত আছেন এবিসি রেডিও ৮৯.২ এফএম-এ।