"সাইকো" উপন্যাসটি লেখকের লেখা দ্বিতীয় উপন্যাস। ১৪২৩ বঙ্গাব্দে, সাড়ে উনিশ বছর বয়সে লেখকের লেখা প্রথম উপন্যাস,"কালপুরুষ" নামে প্রকাশিত হয় কলকাতা বইমেলায়। ভারতবর্ষে লেখকের জন্ম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তর্গত বর্ধমান জেলার কালনায়। অস্টম শ্রেণি থেকে বাংলার ছোট পত্রিকায় নিয়মিতভাবে লেখালেখি শুরু করেন। লেখক আগের উপন্যাসটির মতই, এই উপন্যাসটিও মানুষের মনের বিচিত্রকতাকে তুলে ধরেছেন। "সাইকো" উপন্যাসটিকে বাংলায় মনঃরহস্য বা ইংরেজীতে "সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার" বলা যেতে পারে। মানুষের মনের একটা প্রকষ্ট যতটা আলকিত, অন্য প্রকষ্ট ততটাই অন্ধকার। মনের অন্ধকার প্রকষ্ট সাধরণত সামনে আসে না কিন্তু লেখক উপন্যাস জুড়ে মানুষের অন্ধকার দিকগুলো খানিকটা নির্লজ্জত এবং বাস্তবায়িত করে "অন্ধকারের উপন্যাস" বা "ডার্ক ফিকশান"-এর রূপ দিয়েছেন। চুরি, পারিবারিক ধর্ষণ, খুন, বিশ্বাসঘাতকতা, যৌনতা, নৃশংসতা, গোয়েন্দা, রিপোর্টার, পুলিশ, ধাঁধা সঙ্গে নকশাল, পুরনো কলকাতা এবং বোলপুর ! রহস্য রহস্য গন্ধ বেরচ্ছে! আলোটা জ্বলছে নিভছে। নিস্তব্ধ রাত! পেঁচাটা ডাকছে, পাল্লা দিয়েছে কুকুরগুলোও। আর আপনি তখন পড়ছেন, নৃশংস কিছু প্রানীর অবচেতন মনের বিস্ময়, আপনার সামনে একটা বই যেটা "সাইকো" নামে নামাঙ্কিত।