মিস্টেরিয়াস হরর ফিকশন 'পানামনগরে ভয়ঙ্কর রাত'। উপন্যাসে সন্নিবেশিত চরিত্রগুলো সময়ের উল্টোরথে ইতিহাসের বহমান পথে এগিয়েছে। নানা কুসংস্কার ও ভৌতিক গল্প, যা মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে জনপদে বছরের পর বছর ধরে। তারই শাব্দিক উচ্চারণে এইসব রহস্যময় ও ভৌতিক ঘটনাপ্রবাহ সত্যাশ্রিত হয়ে পড়েছে। কুসংস্কারাচ্ছন্ন কথামালা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে ভীত, শিহরিত ও রোমাঞ্চিত করেছে। এর কোনো বাস্তব ভিত্তি আছে কি নেই, এর দোলাচলে থেকে উপন্যাসটি গতানুগতিক পথে না এগিয়ে ঘটনাপ্রবাহের ভেতর দিয়ে রহস্যোন্মোচন খনন করে উন্মোচিত করেছে জনশ্রুতিনির্ভর পৌরাণিক মিথ। রংধনু চোখের কালোবিড়াল, ইতিহাসবিদ সাদাত হোসেন, কেয়ারটেকার রহমত চাচা, একটি পুরনো পর্তুগিজ প্রাসাদ এবং ঢাকার অদূরে ঈশা খাঁর বিনির্মিত রাজধানী 'ঐতিহ্যবাহী পানামনগর'-এ ঘটতে থাকে একটার পর একটা রহস্যময় ভৌতিক ঘটনা। কুহক জট পাকাতে থাকে ইতিহাসের পরম্পরায়। কুসংস্কারের চাদরে জড়িয়ে প্রতিটি ঘটনার সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে ইতিহাসখ্যাত একটি মিশরীয় চরিত্র। অশরীরী আত্মাগুলো ফিরে আসে স্বরূপে। জাদুকরী আয়নায় নিয়ে যায় দুশ বছর থেকে হাজার বছর পেছনে। একে একে খুলে যেতে থাকে প্রতিটি মুখোশ।
কথাসাহিত্যিক, কবি ও অভিনেতা এবিএম সোহেল রশিদ শিল্প-সংস্কৃতির প্রায় সবক'টি পথেই স্বাচ্ছন্দ্যে পদচারণা করছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের বেদিমূলে আত্মোৎসর্গকৃত সূর্যসন্তান শহিদ বুদ্ধিজীবী এবিএম ত আবদুর রহিম ও মা কারুশিল্পী মিসেস ঝরনা রহীম-এর পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনিই বড়। ২৩ ডিসেম্বর ১৯৬৫ খ্রি. রাজধানী ঢাকায় আজিমপুর মেটারনিটি হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হলেও পৈত্রিক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এসএসসি সার্টিফিকেট অনুযায়ী তাঁর জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৬৮ খ্রি.। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী, এক পুত্র ও দুই কন্যার সুখি পরিবার। ইতিমধ্যে তাঁর চৌদ্দটি একক কবিতার বই, চারটি উপন্যাস ও একটি শিশুতোষ গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে।