"সমুদ্র থেকে সমতলে" বইয়ের ভেতরের অংশ থেকে নেয়া: ১৭ বছর বয়সেও জানতাম না ১৮ তে সমুদ্রে। চলে যাবাে, জানতাম না গভীর সমুদ্রে পূর্ণিমার চাঁদের আলােয় যুদ্ধ জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে। ডলফিনের ঝাঁকের পাশাপাশি নীলাভ জল। কেটে এগিয়ে যেতে কেমন লাগে। নিজের। গন্ডিকে বুঝতে হলে যে বার বার নিজেকে। ভেঙে চুরে গন্ডির সীমানা বদলাতে হয়। নিঃসংকোচে সেটা বুঝতে বুঝতে কেটে গেছে। তারুণ্যের দারুন কিছু বছর। নিশ্চিত। ভবিষ্যৎকে এড়িয়ে গিয়ে আবার শূন্য থেকে । শুরু করার অসহনীয় যন্ত্রনা আর শূন্যের বা| দিকে একর পর এক সংখ্যা বসিয়ে নিজেকে। আবার গড়ে নেয়ার দীর্ঘ যাত্রাটা সবার সাথে ভাগ করে নেয়ার ইচ্ছে থেকেই এই বই লিখা। সামর্থহীন মধ্যবিত্তকে নিজের যােগ্যতা প্রমা-ে নর জন্যে এই শহরে কত দরজায় যে কড়া। নাড়তে হয় , একটু ভালাে থাকতে হলে যে। সবকিছু ছাপিয়ে পরিবার আর নিঃস্বার্থ কিছু। বন্ধুর প্রয়ােজন হয় সবচেয়ে বেশি, সেটা শিখে। নিতে হয়েছে বাস্তবতার মুখােমুখি একাধিকবার। দাড়িয়ে।সমুদ্র আর সমতলের রাত আর দিনের। গল্পটা আমি অপরিপক্ক হাতে সবার কাছে ছাড়িয়ে দিতে চেয়ছি এই বইয়ের পাতায়। পাতায়। দমে না গিয় শুরু থেকে আবার শুরু করা সব মানুষদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ।।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে যে ক’জন বিখ্যাত অনলাইন ব্যক্তিত্ব রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন সোলায়মান সুখন। জীবনে বর্তমান পর্যায়ে আসতে অনেক কষ্টের শিকার হওয়ায় তিনি তাঁর নিজের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মানুষকে মোটিভেশন দেয়া শুরু করেন এবং একসময় দেশের অন্যতম সেরা মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় সোলায়মান সুখন ১৯৮০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি যশোর সেনানিবাসে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা সাবেক সেনাসদস্য আব্দুল ওয়াদুদ এর চাকরির সুবাদে তাঁর পরিবার কোথাও থিতু হতে না পেরে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কাটিয়েছে। প্রবল অর্থকষ্টে থাকার পরও স্কুল শিক্ষিকা মা সামসুন নাহার খন্দকারের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় লেখাপড়া চালিয়ে যান তিনি ও তাঁর ভাই-বোনেরা। অবশেষে ১৯৯৫ সালে মাধ্যমিক ও ১৯৯৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি এবং সাথে সাথেই বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে যোগ দেন একজন অফিসার ক্যাডেট হিসেবে। ২০০০ সালে কমিশনপ্রাপ্ত হয়ে একজন সাব লেফটেন্যান্ট হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগ দিলেও কিছুদিন পর তিনি ঐ চাকরি ছেড়ে দেন, স্বাধীনচেতা মানসিকতার হওয়ায় এবং সামরিক জীবন ভালো না লাগায়। তখন মাত্র ৭০০ টাকা নিয়ে তিনি ঢাকায় আসেন ও জীবনযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন, আর তাঁর জীবনের এসকল গল্পই তিনি মানুষকে অনুপ্রেরণা দিতে বলে থাকেন তাঁর মোটিভেশনাল স্পিচসমূহে। ২০০৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ তে ভর্তি হন এবং এখান থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বড় বড় পদে চাকরি করেন এবং বর্তমানে কাজ করছেন 'আমরা নেটওয়ার্কস' এর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে। ২০০৮ সাল থেকে তিনি ফেসবুক ও অন্যান্য মাধ্যমে হাস্যরসাত্মক ও অনুপ্রেরণাদায়ক ভিডিও ও কন্টেন্ট শেয়ার করা শুরু করেন। একসময় শুধু অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও তৈরি ও এই বিষয়ক লেখালেখি পোস্ট করা শুরু করেন তিনি এবং বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা দিয়ে মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগাতে তিনি এখন লিখছেন বইও। সোলায়মান সুখন এর বই সমগ্রও মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগাতে রাখছে ভূমিকা। তাঁর লেখা বইটি হলো 'মস্তিষ্কের ক্যানভাস'। সোলায়মান সুখন এর বই সমূহ এর সংখ্যা একটি হলেও তিনি ভবিষ্যতে আরো লিখবেন আশা করা যায়। বর্তমানে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সুখে দিনযাপন করছেন তিনি।