"বিদেশে বিভুঁইয়ে যখন যেখানে" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: দেশ-বিদেশে ভ্রমণ হচ্ছে ছুটি কাটানাে, বিনােদন ও জ্ঞানলাভের একটি উত্তম পন্থা। এজন্যেই বিশ্বের তাবৎ জ্ঞানী-গুণীরা, এমনকি স্বয়ং বিশ্বস্রষ্টাও মানুষকে ভ্রমণে উৎসাহিত করেছেন। কিন্তু বিদেশভ্রমণ প্রায়শই ব্যয়বহুল হওয়ায় সবার পক্ষে তা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। তাই অনেক পাঠককেই ভ্রমণ সংক্রান্ত বই-পত্র পাঠ করে ভ্রমণের স্বাদ নিতে হয়- এ যেন অনেকটা দুধের স্বাদ ঘােলে মেটানাের মতাে। আর বােধকরি একারণেই আমাদের মাতৃভাষায় একটি প্রবচনের প্রচলন হয়েছে অন্যের মুখে ঝাল খাওয়া বিদেশে বিভূঁইয়ে, যখন যেখানে এক হৃদয় জাগানিয়া ভ্রমণ গ্রন্থ। এ গ্রন্থে পাঠক একসঙ্গে অনেক দেশ সম্পর্কে জানতে পারবেন। লেখক ভ্রমণ করার ছলে সেসব দেশের মজার মজার ইতিহাসও তুলে এনেছেন। এ গ্রন্থে ভ্রমণসংক্রান্ত বিবরণ-ঘটনা-দুর্ঘটনার পাশাপাশি নানা রকম রম্য রসিকতাও খুঁজে পাবেন পাঠক যা প্রাসঙ্গিক। বাঙালি ভ্রমণপ্রিয়- এ গ্রন্থের পাতায় পাতায় উঠে এসেছে তার পুংখানুপুংখ বর্ণনা। গ্রন্থটি পাঠ করলে পাঠক অনায়াসে ঘুরে আসতে পারবেন বিশ্বের অনেক দেশ। জানতে পারবেন অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য।
সাবেক অধ্যাপক, আমলা ও কূটনীতিবিদ আতাউর রহমানের জন্ম ১৯৪২ সালে সিলেট জেলার গােলাপগঞ্জ উপজেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৪ সালে ইংরেজিতে অনার্স ও ১৯৬৫ সালে এম. এ. পাস। অতঃপর সিলেট এম.সি. (সরকারি) কলেজে অধ্যাপনা শেষে তৎকালীন কেন্দ্রীয় প্রতিযােগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে যােগদান। ২০০২ সালে ডাক বিভাগের ডি-জির পদ থেকে চূড়ান্ত অবসর গ্রহণ। মধ্যিখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচালক পদে এবং লন্ডন ও রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতক দায়িত্বপালন। আতাউর রহমান এদেশের একজন প্রখ্যাত রম্যলেখক। ২টি উপন্যাস, ১টি আত্মজীবনী ও ১৩টি রম্যগ্রন্থসহ অদ্যাবধি তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মােট সংখ্যা ১৬। লেখালেখির জন্য বেশ ক'টি পুরস্কারে ভূষিত। ভাষাগত ব্যুৎপত্তি : মাতৃভাষা ব্যতিরেকেও ইংরেজি, ফরাসি, আরবি ও উর্দু। হাস্যরস পরিবেশনা ও ধর্মীয় আলােচনা প্রধানতম শখ।