"তিন গোয়েন্দা ভলিয়ম -১৫২" বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা: প্রাচীন বাড়ির রহস্য: প্রাচীন, পােড়াে এক বাড়ি। কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ওটার চিলেকোঠায়? লােকে বলে-গুপ্তধন। বাড়িটাতে সন্দেহজনক সব চরিত্রের আবির্ভাব ঘটছে। এবং তাদের ওপর গােয়েন্দাগিরি করার জন্য তাে তৈরি হয়েই রয়েছে কিশাের, মুসা আর রবিন। পাতালবন্দি: লিয়ার্ড লােকটা সাধু না শয়তান? অনেকের কাছে সে দুনিয়ার ত্রাণকর্তা, আবার কারও মতে সে ক্ষমতালিপ্সু-পৃথিবীর দখল নিতে চায়। কোনটা ঠিক জানার জন্য তার পাতাল গবেষণাগারে হানা দিল কিশাের, মুসা, রবিন আর হিরু চাচা, দেখা যাক, কী হয়.. রক্তচক্ষু: হঠাৎ করেই উধাও কিশাের! ফুপিয়ে উঠলেন মেরি চাচী, হয়তাে দুরে নির্জন কোনও সেতুর নিচে পড়ে আছে ওর লাশ! মুসা আর রবিন জেনে গেল-রক্তচক্ষু'-র পুরনাে সেই কেসের সঙ্গে সম্পর্ক আছে কিশােরের অন্তর্ধানের! তবে কি সমাধান হয়নি সেই কেসটা? রক্তচক্ষু-রহস্য তদন্তে নেমে জটিল ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে গেল ওরা। | সত্যিই কি খুঁজে পেল প্রিয় বন্ধু কিশােরকে? চারপাশে ভয়ঙ্কর অশুভ সব মানুষ! শেষে ভারতের দুর্গম এক পর্বতে অদৃশ্য-মন্দির। খুজতে গেল তিন গােয়েন্দা। আর কি প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে ওরা?।
জন্মঃ জুলাই ১৯, ১৯৩৬, ঢাকা) একজন বাংলাদেশী লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, এবং জনপ্রিয় মাসুদ রানা সিরিজের স্রষ্টা। সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার হিসাবে তিনি ষাটের দশকের মধ্যভাগে মাসুদ রানা নামক গুপ্তচর চরিত্রকে সৃষ্টি করেন। ডাক নাম 'নবাব'। তাঁর পিতা প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেন, মাতা সাজেদা খাতুন। তাঁরা ছিলেন ৪ ভাই, ৭ বোন । তিনি ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট গ্রেগরি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএ ও বিএ পাস করেন। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এমএ পাস করেন। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা হিসেবে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া পেয়েছেন সিনেমা পত্রিকা ও জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার।