পনেরাে বছর বয়সি এক কিশােরী। দু’চোখে রঙিন স্বপ্ন, সামনে অপার ভবিষ্যৎ। একদিন হুট করেই প্রেমে পরে গেল দ্বিগুণ বয়সি এক যুবকের। আবেগ আর বাস্তবতায় চলে দ্বন্দ্ব। ভুল শুদ্ধ নানান প্রশ্নের মাঝখানে পড়ে যায়। একটি নিস্পাপ জীবন। মধ্য বয়সের কাছাকাছি একজন সু-প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। বহু ঘাতপ্রতিঘাত পেরিয়ে এক অনন্য কর্মজীবনে প্রবেশ করেছে সে। অথচ সব কিছু থেকেও কী যেন নেই তার। মনের সাথে চলে দায়িত্বের দ্বন্দ্ব। অসতর্কতায় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় পৌছে যায় মৃত্যুর দুয়ারে। একজন বিধবা কর্মজীবী মহিলা। স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ সম্পদটুকু গড়তে বদ্ধপরিকর তিনি। অথচ কাঁধে কিশাের বয়সি সন্তান লালনপালনের গুরুভার। একদিকে প্রতিযােগিতার বাজারে টিকে থাকার লড়াই, অন্যদিকে সন্তানদের প্রয়ােজন। ব্যস্ততায় সন্তানের সাথে সৃষ্টি হয় বিশাল দূরত্ব। আরেকজন নারী যার অবহেলিত জীবনে অন্যের নাড়িছেড়া ধনই একমাত্র আনন্দের উৎস। হঠাৎ করে রক্তের টান বড় নাকি মমতার টান বড় এক চিরাচরিত বিতর্ক এসে পরে সামনে। জীবনটা বড় অর্থহীন মনে হয়। এভাবেই সাধারণ কিছু মানুষের অসাধারণ অথবা অতি সাধারণ হয়ে ওঠা জীবন স্রোতের গল্প নিয়ে লেখা একটি উপন্যাস ‘চৈতালি বাতাসে। - বি ভি রঞ্জন
তাহমিনা সুলতানা তানি ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মা মনােয়ারা বেগম অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং বাবা মরহুম মাে: হাসান উদ্দিন ছিলেন একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। পড়াশােনা করেছেন চট্টগ্রামেই। ১৯৯৭-এ বাংলাদেশ ব্যাংক কলােনী হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৯৯-এ হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসা শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন ২০০৬এ। স্নাতকোত্তর চিকিৎসক হিসেবে দু’বছর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার বিভাগে কাজ করার পর স্বামীর সাথে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান ২০১০-এ। বর্তমানে মেলবাের্ন শহরে স্বামী মােশরাফুল বারী চৌধুরী এবং দুই ছেলে জুহায়র রাহিদ চৌধুরী ও আইজ্যাক রাফিদ চৌধুরীসহ অবস্থান করছেন সেই সাথে ফ্যামিলি মেডিসিনের শিক্ষানবিস চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন। তাহমিনা স্কুলজীবন থেকে টুকটাক লেখালেখি করতেন। তার কিছু ছড়া/কবিতা এবং লেখা ওই সময় ছােটদের মাসিক ও ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেভাবে লেখালেখি না করলেও সব সময় তার প্রবল আগ্রহ ছিল । সাংসারিক ও কর্মজীবনের দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি এখন নতুন উদ্যমে লেখালেখি আরম্ভ করছেন। ভবিষ্যতে এভাবে লিখে যেতে চান তিনি। তার জীবনের এই নতুন যাত্রায় তিনি সকলের দোয়া কামনা করেন।