"মিথলজি" বইয়ের কভারে লেখা: যারা পুরাণতত্ত্ব সম্পর্কে জানেন না, তারা এ বই পড়ে শুধু পৌরাণিক কাহিনীগুলাে সম্পর্কেই জানবেন না, এর সাথে কাহিনীর লেখকদের সম্পর্কেও ধারণা পাবেন। ক্লাসিক্যাল পুরাণের প্রথম দিকে জিউস, হেরা, পােসিডন, ও অন্যান্য দেবদেবীর জন্মকথা, সরূপ ও চরিত্রমাহাত্ম উপস্থাপিত হয়েছে । পরে হারকিউলিস, পারসিয়াস, থিসিয়াস সহ অন্যান্য পৌরাণিক বীরদের অসাধারণ পৌরুষ ও বীরত্ব বর্ণিত হয়েছে। মানুষ বাহুবলে ও বুদ্ধিবলে যত বীরত্বই অর্জন করুক না কেন দৈববলে বলীয়ান না হলে বা দৈব অনুগ্রহ লাভ করতে না পারলে চূড়ান্ত জয় বা সাফল্যের স্বর্ণমুকুট কখনােই লাভ করা যায় নাই । মানুষের জন্মকালে নিয়তিদেবীরা সেভাবে নবজাতকের জীবন সম্পর্কে একটি পরিকল্পনার তালিকা তৈরি করেন, কোনাে মানুষই সেই পরিকল্পনার বাইরে তার জীবনকে আলাদাভাবে গড়ে তুলতে পারেনি । শত চেষ্টাতেও ইডিপাসের মতাে বীর, বিচক্ষণ বুদ্ধিমান পুরুষ নিয়তি নির্দিষ্ট অভিশপ্ত জীবন পরিণতিকে পরিহার করতে পারেননি। ক্লাসিক্যাল পুরাণের কাহিনীগুলাের মধ্যে অজস্র অলৌকিক ও অতিপ্রাকৃত ঘটনা ছড়িয়ে আছে যা আজকের পাঠকদের বিস্ময়ে অভিভূত করবে । বিভিন্ন দেবমন্দিরের গণনাকারী লােকদের যেসব আনুষ্ঠানিক কার্যকলাপের ভিতর দিয়ে দৈববাণী বলতাে তা সত্যিই ভয়ের শিহরণ জাগায়—তা সত্যিই বিস্ময়কর। মানুষের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্যোতিষীদের অভ্রান্ত ঘােষণার অন্তরালে যে কোনাে গুহ্যবিদ্যা কাজ করতাে তা আজও গবেষণার বিষয়বস্তু। এ গ্রন্থে বর্ণিত কতকগুলাে কাহিনীর মধ্যে রাক্ষস, ড্রাগন বা অতিপ্রাকৃত জন্তুর কথা আছে। মানুষ যখনই কোনাে দুঃসাধ্য কর্মসম্পন্ন করে কোনাে দুর্লভ বস্তুকে লাভ করতে চেয়েছে তখনই তার সামনে এসব অতিপ্রাকৃত জন্তুগুলাে তার পথের সামনে আবির্ভূত হয়ে তার চূড়ান্ত সাফল্য বা জয়কে পরাহত করে তুলেছে। আরও আছে ট্রয় যুদ্ধের ঘটনা। অডিসিউস ও ঈনিয়াসের অভিযান। থিবিস ও এথেন্সের রাজপরিবার এবং নর্স পুরাণতত্ত্বের কাহিনী।