গ্রন্থটি দুটি অংশে বিভক্ত। এতে মোট ১২৪টি বিষয়ের ভ্রান্তি নিরসন করা হয়েছে। প্রথম অংশে আন্দাজ ও অনুমাননির্ভর মানুষের জীবনের নানান ভ্রান্তিকর বিশ্বাসসমূহকে কুরআন, হাদিস ও যুক্তির আলোকে পর্যালোচনা করে তার অসারতা প্রমান করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় অংশে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য একটি বিষয় পানাহার তথা খাদ্য ও পরিপুষ্টি সম্পর্কে যুগ যুগ ধরে চলে আসা সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কার ও অবৈজ্ঞানিক ধারনাগুলোকে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে বিশ্লেষণ করে এর সঠিক সমাধান উপস্থাপন করা হয়েছে। স্বল্পপরিসরে এত বিষয়ের সম্যক জ্ঞান সত্যিই চমৎকার। বইটির ভুমিকায় লেখক বলেছেন, “ভুলকে ভুল হিসেবে জানলে একদিন না একদিন তা শোধরানো সম্ভব। কিন্তু ভুলকে শুদ্ধ হিসেবে জেনে তা পালন করলে মধু হিসেবে বিষকে মুখে তুলে নেয়ারই নামান্তর। অজান্তে বিষপান করলেও বিষের ক্রিয়া কখনো থেমে থাকে না।” বিষয়টি ভাবাবেগে সত্যিই দোলা দেয়। আর যে যা-ই বলুক, আমি বলব, গবেষক-প্রাবন্ধিক, সমাজচিন্তক ও শুদ্ধাচারধর্মী লেখক ড. খ ম আব্দুর রাজ্জাক -এর ‘প্রচলিত ভুল-ভ্রান্তি সংশোধন-২’একটি বহুল পরিশ্রমলব্ধ কাজ এবং এই সিরিজ গ্রন্থগুলো তাঁকে অবিস্মরণীয় করে রাখবে বলে আশা রাখি। ‘প্রচলিত ভুল-ভ্রান্তি সংশোধন-২’ গ্রন্থটি কুসংস্কারে নিমজ্জিত, তমাসাচ্ছন্ন মানব সমাজের জন্য আলোকচ্ছটা। এ গ্রন্থ প্রকাশনার মাধ্যমে গ্রন্থকার ড. খ ম আব্দুর রাজ্জাক কুসংস্কারে ক্লেদাক্ত জীবনের কুসুম সম্ভাবনার দ্বারকে উন্মোচিত করে দিয়েছেন। গ্রন্থটি আত্মিক ও শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি বিজ্ঞানমনোস্ক মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস।