"জোনাকির গান" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে। গ্রামের কাঁচা রাস্তা। ঘুটঘুটে অন্ধকার। পথের কাদাপানি ভেঙে রাশেদ আর পপি হাঁটছে। তারা পালাচ্ছে। দ্রুত যেতে হবে তাদের । রাশেদ দ্রুত হাঁটতে পারছে না। পা পিছলে যাচ্ছে বারবার। রাশেদের বিস্ময়ের শেষ নেই। এত বড় সমস্যা থেকে তাদের এতাে সহজে মুক্তি মিলেছে কী করে! পপি জানায়, মনজিলকে কাছে ডেকে তার ফোন নম্বর নিয়েছে। পপির নাম্বারটাও দিয়েছে। তারপর একটু হেসে তার হাত ধরে টাকাটা গুঁজে দিতেই মনজিল গলে গিয়েছে। এবং তাদের পালানাের সুযােগ করে দিয়েছে। রাশেদ পপির বুদ্ধির প্রশংসা করে। পপি তাড়া দেয় , বিপদ এখনাে। কাটে নি। পথে কেউ দেখে অদের আটকাতে পারে। দ্রুত পা । ফেলতে হবে। হাঁটতে হবে অনেকটা পথ। হঠাৎ পপিকে থামায় রাশেদ। অবাক করে দিয়ে বলে, ‘পপি, আমার একটা কবিতা শুনবেন?’ পপি কিছু বলে উঠার আগেই রাশেদ আবৃত্তি শুরু করে। “নিশুতি রাত; ঝিঝিপােকার ডাক। ঘুটঘুটে অন্ধকারের বুক চিড়ে বেরিয়ে আসে আলাের প্রদীপ; ফসফরাস বারুদ; জ্বলে উঠে, নিভে যায়- শত সহস্র জোনাকি। নিশুতি রাত, নিস্তব্ধ চারদিক অথৈ আধার বাণ। আমি একা পথ চলি, শুনি জোনাকির গান।” পপি রাশেদের হাত চেপে ধরে বলে, ‘একা পথ চলতে হইবাে না। এই আমার হাত ধরেন।’ রাশেদ পপির হাত চেপে ধরে। তারা হাঁটতে থাকে। পপি তাকিয়ে দেখে চারপাশটা অসংখ্য জোনাকিতে ভরে গেছে।