ফেব্রুয়ারি মাস। কনকনে শীতের বিকেল। মার্কিন দেশের কেন্টাকি রাজ্যের এক শহরে একটি বড় বাড়ি। সুন্দর সাজানো-গোছানো। একটি নিরিবিলি বৈঠকখানা। এইমাত্র খাওয়া শেষ করে মুখোমুখি বসে দুজন লোক জরুরি আলাপ করছেন। তাদের আলোচনা এতই জরুরি আর গোপনীয় যে, আশপাশে কোনো ভৃত্যকেও থাকতে দেয়া হয়নি। দুজনের মধ্যে একজনের মেজাজ খুব কড়া। বেঁটেখাটো হৃষ্টপুষ্ট তার চেহারা। বিশেষ করে তুলে ধরার মতো আর কোনো বৈশিষ্ট্য নেই লোকটার চেহারায়। কিন্তু হাবভাব দেখলে বোঝা যায়, বহু মানুষের মাঝখান থেকে তার নিজের পথ নিজেই তৈরি করে নিয়েছেন। তার পরনে বেশ দামি পোশাক। গায়ে বিচিত্র রঙের ঝলমলে জামা। গলায় নীল রঙের রেশমি রুমাল। তাতে হলদে ফুটকি আঁকা। লোমভরা দুটি হাতে কয়েকটা আংটি। পকেটঘড়ির সোনার বেল্টটা বেশ ভারি। চকচক করছে আলো। তাকে দেখেই মনে হয়, নিজেকে একজন ভদ্রলোক হিসেবে প্রমাণ করার জন্যে প্রাণপণ চেষ্টা করছে তিনি। এ-বাড়ির মালিকের নাম মিস্টার শেলবি। অবশ্য তাঁকে দেখলে বোঝা যায় যে, তিনি আসলেই একজন ভদ্রলোক। বাড়িঘর পরিপাটি সাজানো। ঘরের পরিবেশ থেকে গৃহকর্তার রুচি আর সচ্ছল অবস্থার কথাও অনুমান করতে কষ্ট হয় না। দুজনে এখনো গভীরভাবে জরুরি আলাপে মগ্ন।