‘গণিতের স্বপ্নযাত্রা: আর্ট অব প্রবলেম সলভিং’ বইটির ফ্ল্যাপে লেখা কথাঃ ২০১৮—আমাদের দেশের জন্য দারুণ গর্বের একটি বছর। এ বছর আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে প্রথম স্বর্ণপদকের দেখা মেলে বাংলাদেশের। যে ছেলেমেয়েরা আমাদের জন্য এত বড় গর্ব বয়ে এনেছিল, সেই দলের দুজন মিলে একটি বই লিখেছে—এ ব্যাপারটি আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। এ যেন সরাসরি সেরাদের কাছ থেকে শেখার মতো একটি বিষয় । আমাদের চিরাচরিত পাঠ্যক্রমের গণিত থেকে গণিত অলিম্পিয়াডের গণিত কিন্তু আলাদা। আমাদের পাঠ্যবইয়ের গণিতগুলো মূলত অনুশীলনী আর অলিম্পিয়াডের গণিতে থাকে সমস্যা! খটকা লাগছে কি? গণিতের অনুশীলনী আর সমস্যা কিন্তু এক বিষয় নয় । লেখকদের ভাষায় অনুশীলনী করতে হয় হাত দিয়ে, আর সমস্যার সমাধান করতে হয় মাথা দিয়ে। নিয়মগুলো জানা আছে, টানা অঙ্ক করে গেলেই সমাধান হয়ে যাবে—এমন। ব্যাপারগুলালো হলো অনুশীলনী। আর নিয়মটা কী হবে এটাই যখন আরেকটা চিন্তার বিষয়, তখন সেটাকে বলা যায় সমস্যা। বোঝাই যাচ্ছে ব্যাপারটা মোটেও সহজ কিছু নয়। আর এ কারণেই যখন নানান চিন্তার পর সমাধানের পথটা মিলে যায়, সেই আনন্দের অনুভূতিটাও স্বর্গীয়! সমস্যা সমাধানের কোনো একক সূত্র নেই, আছে শুধু কিছু কৌশল । এমন অনেক কৌশল নিয়েই এ বইটি। নানান রকম মজার উদাহরণ আর গল্প দিয়ে এসব কৌশল চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছে স্নেহভাজন জাওয়াদ ও রুবাব। বইটি গণিতপ্রেমী ছাত্রছাত্রীর কাছে পৌছে যাক—মানুষের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকশিত হোক—শুভকামনা রইল । চমক হাসান "গণিতের রঙ্গে হাসিখুশি গণিত" মাইনাস মাইনাসে হয় প্লাস, শূন্য দিয়ে ভাগ দিলে হয় অসংজ্ঞায়িত, ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল ‘হাপিন্টুভুমিন্টুচ্চতা’ (1/2 * ভূমি * উচ্চতা), (a b)2= a2 2ab b2 গণিত করতে গিয়ে এমন আনেক কিছু আমরা শিখি, মুখস্থ করি। কিন্তু জানি কি- কেন হয়, কিভাবে হয়? বুঝি কি অন্তর থেকে? এগুলো কি Feel করা সম্ভব? এই বইটি যতটা জ্ঞানের তার খেকে বেশি আনন্দের, চিন্তার আনন্দের লেখক মনে করেন, গণিত পৃথিবীর সবচেয়ে মজার বিষয়। অনেক মানুষ এটাকে ভয় পায় কারণ মজার অংশগুলো তাদের জানানো হয় না কেমন অদ্ভুত ছিল গণিতবিদদের জীবন? আসলে কে আবিষ্কার করেছিল পিথাগোরাসের উপপাদ্য? কিভাবে মাথায় এল আইডিটা? তিন মেয়ের সমস্যাটা কী ছিল? মাথায় চুলের সংখ্যা কত? অনন্ত জলিল গণিত নিয়ে সিনেমা বানালে কী সংলাপ বলতেন? এমন মজার সব চিন্তা, সমস্যা আর গল্প নিয়েই গণিতের রঙ্গে: হাসিখুশি গণিত।
সূচি গণিতের রঙ্গে : পর্ব ১ আল মুকাবালা গণিতের রঙ্গে : পর্ব ২ কী নিষ্ঠুর গণিতের রঙ্গে : পর্ব ৩ হায়রে শূন্য গণিতের রঙ্গে : পর্ব ৪ ৩টি মেয়ে গণিতের রঙ্গে : পর্ব ৫ মাথায় চুল কয়টি গণিতের রঙ্গে : পর্ব ৬ মিস্টার বাটা গণিতের রঙ্গে : পর্ব ৭ প্রিয় পাই গণিতের রঙ্গে : পর্ব ৮ অসীম ও কুমড়া গণিতের রঙ্গে : পর্ব ৯ ডিজে পিথাগোরাস গণিতের রঙ্গে : পর্ব সাড়ে নয় তেমন কিছু গণিতের রঙ্গে : পর্ব ১০ নিঃস্বার্থ গণিত - What is Math
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ থেকে প্রথম স্বর্ণপদক পাওয়ার কৃতিত্ব আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরীর। ১৮ বছর বয়সে যিনি আইএমও এর মঞ্চে বিশ্ববাসীর সামনে আলোকিত করেছেন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। রোমানিয়ায় ক্লুজ-নাপোকা শহরে ৫৯ তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড এ (আইএমও) দেশের জন্য প্রথম সোনার পদকটি জিতে এনেছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল ও কলেজের এই শিক্ষার্থী। ৪২ নম্বরের মধ্যে তাঁর অর্জন ছিল ৩২। আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরীর জন্ম ২০০০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। মা সৈয়দা ফারজানা খানম ও বাবা আহমাদ আবু জোনায়েদ চৌধুরী। ছোটবেলা থেকেই সব ধরনের বই ও সব বিষয়ে জানার প্রতি আগ্রহী ছিলেন ক্ষুদে এই গণিতবিদ। ২০১১ সাল, অর্থাৎ স্বর্ণজয়ের সাত বছর আগে মাত্র ১১ বছর বয়সে গণিত অলিম্পিয়াডে প্রথম অংশগ্রহণ করেন জাওয়াদ। সেখানে প্রাথমিক ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাঁর আগ্রহ বেড়ে যায় গণিতের দিকে। তিনি দেখতে পেলেন, পাঠ্যবইয়ের বাইরেও আছে এক আশ্চর্য জগৎ- গণিতের জগৎ। তারপর ২০১৬-১৮ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে যথাক্রমে অর্জন করেছেন ব্রোঞ্জ, রৌপ্য ও স্বর্ণপদক। শুধু গণিতচর্চা ও পুরস্কার লাভের মাঝেই থেমে নেই এই ক্ষুদে গণিতবিদ। গণিতপ্রেমীদের মাঝে সাড়া ফেলেছে আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরীর বই। এই অল্প বয়সের মাঝে গণিতকে ঘিরে লিখেও ফেলেছেন একাধিক বই। 'কম্বিনেটরিকসে হাতেখড়ি', 'গণিতের স্বপ্নযাত্রা', 'গণিতের স্বপ্নযাত্রা: আর্ট অব প্রবলেম সলভিং' ইত্যাদি আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী এর বই সমূহ।