"ফ্লাইটস" বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া ‘ফ্লাইটস’ উপন্যাসে উন্মােচিত হয়েছে একুশ শতকে মানবজীবনে পরিভ্রমণের এক অন্তরালবর্তী কাহিনী। পরতে পরতে অনাবৃত হয়েছে মানুষের অ্যানাটমি। তুলে ধরা হয়েছে জীবন, মৃত্যু, সচলতা আর অভিবাসন। কয়েক শতাব্দী এর কাল-সীমা। সপ্তদশ শতাব্দীতে আমরা দেখতে পাই ওলন্দাজ শারীরবিদ্যাবিশারদ ফিলিপ ভার্হেয়েনকে, নিজের বিচ্ছিন্ন পায়ের ব্যবচ্ছেদ করেছিলেন তিনি, নকশা এঁকেছিলেন শারীরবিদ্যার। অষ্টাদশ শতাব্দীতে আমরা পাই উত্তর আফ্রিকায় জন্ম নেয়া এক কৃষ্ণাঙ্গ দাসের গল্প, যিনি অস্ট্রিয়ার রাজদরবারের একজন সভাসদে পরিণত হয়েছিলেন, মৃত্যুর পর তার দেহ কবর না দিয়ে স্টাফ করা হয়েছিল প্রদর্শনীর জন্য। উনবিংশ শতাব্দীতে আমরা শরিক হই একটা গােপন অভিযানের যাত্রায়, শােপেনের হৃৎপিণ্ড ওই যাত্রায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল প্যারিস থেকে তার মাতৃভূমি পােল্যান্ডে। আর বর্তমান কালপর্বে আমরা মুখােমুখি হই এক যুবক স্বামীর , ছুটি কাটাতে এসে যার স্ত্রী ও শিশুসন্তান রহস্যজনকভাবে হারিয়ে গেছে ক্রোয়েশিয়ার এক দ্বীপে। নিজের অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে ওলগা তােকারচুক পাঠকদের নিয়ে যান আধুনিকতার উপরিতল থেকে বহুদূরে, মানবপ্রকৃতির হৃৎপিণ্ডে।
ওলগা তােকারচুকের জন্ম পােল্যান্ডে, ১৯৬২ সালে। তার দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় সাহিত্যিক। ২০১৫ সালে পেয়েছেন ব্রাকপ্রাইস এবং পােল্যান্ডের সংস্কৃত ও জাতীয় ঐতিহ্য মন্ত্রণালয়ের মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরস্কার। নাইক অ্যাওয়ার্ড ও নাইক রিডারস' প্রাইজ।। ফ্লাইটস উপন্যাসটির জন্যও নাইক পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৮ সালে। এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে তার আটটি উপন্যাস, দুটি ছােটগল্প সংগ্রহ। বারােটিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে তার রচনা। প্রমিত হােসেন শীর্ষস্থানীয় সাহিত্য-অনুবাদক ও লেখক। জন্ম: এপ্রিল ১৬, ১৯৬১। তার বাবা ইত্তেজাদ হােসেন ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। গড়ে ৩ বছর অন্তর বাবার বদলির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান ও লােকজীবনের সঙ্গে পরিচয় ঘটে শৈশবেই। মা সাহেরা বেগম। ভক্ত ছিলেন শরৎ ও বঙ্কিম সাহিত্যের। বিদ্যোৎসাহী -বাবার কল্যাণে সাংস্কৃতিক আবহে বেড়ে ওঠেন। পড়াশােনা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত দেশে এবং এরপর বিদেশে। পেশা সাংবাদিকতা।