"কিছু বইয়ের নাম থাকে না" বইয়ের ফ্ল্যাপের অংশ থেকে নেয়া: ইয়াসিনের বয়স নয়। গুটুর-পুটুর কথা বলে | আর হাসে। মুচকি হাসি। নিস্পাপ। 'ছেলেটির এই হাসি দেখলে মায়ায় পরে। যাবেন। এ কোনাে সাধারণ মায়া নয়।। হুমায়ুন আহমেদ সাহেব বেঁচে থাকলে এই মায়াটির সুন্দর একটি নাম দিতেন। সম্ভবতঃ কদম মায়া। প্রেমিকার প্রতি। প্রেমিকের মায়া হচ্ছে গােলাপ মায়া। শিক্ষকের প্রতি মায়ার নাম সূর্যমুখী। আর। পথশিশুর জন্য মায়ার নাম কদম মায়া ।। 'ইয়াসিন টি এস সির খােলা প্রান্তরে ঘুমায়।। ভাের বেলায় উঠে নিজেকে রাস্তায় পেয়ে। 'চমকে যায় কিনা জানি না। সারাদিন। বালতি করে ফুল বিক্রি করে। প্রেমিকেরা । তার থেকে গােলাপ কিনে। প্রেমিকার প্রতি। প্রেমিকের মায়ার নাম গােলাপ মায়া ।। ইয়াসিন গােলাপ মায়া বিক্রি করে সকালের। নাস্তা করে । একদিন সারাদিন গােলাপ মায়া বিক্রি। হয়নি। রাত এগারােটা বাঁজে। ক্ষুধার্ত ইয়াসিন কারাে কাছে খাবার চায় নি। চেয়ে খাওয়ার অভ্যাস নেই। আপাতত ক্ষুধাকে। সে পাত্তা দিচ্ছে না। প্রতিদিন খেতে হবে । এমন কোনাে কথাও নেই। এক বালতি। ফুল নিয়ে সে বসে আছে পায়রা চতুরে। টি 'এস সির ব্যাস্ততা শেষ হয়েছে। টং। দোকানের মামারা বাড়িতে ফিরেছে। হলের 'ছাত্ররা ফিরেছে হলে। এই নির্জন টি এস। সি এখন তার একার। কদম মায়া কিনবেন?
জনপ্রিয় র্যাপ সংগীতশিল্পী তবীব মাহমুদ বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এক ক্ষণজন্মা তরুণ। অসাধারণ সব গানের লিরিক লেখা, সুর করা, কণ্ঠ দেওয়া, কবিতা লেখা এবং গদ্য রচনার পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞানের বই লিখে পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছেন ইতোমধ্যে। ২০২০ সালে প্রকাশিত তার সাধারণ জ্ঞানের (জিকে) বই ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছুদের জন্য লিখেছেন সাধারণ জ্ঞানের বই "জিকে ফ্লেক্স সাধারণ জ্ঞান।" মুহাম্মদ ফজলুর রহমান ও রোজিনা আক্তার দম্পতির একমাত্র পুত্র তবীব মাহমুদ জন্মগ্রহণ করেন মানিকগঞ্জ জেলা সদর থানার দাশড়া গ্রামে, ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর। দুই বোন মালিহা ও লাবীবা। পড়াশোনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে। তরুণ এই কবি তাঁর লেখার মাধ্যমে তুলে এনেছেন জনমানুষের না বলা কথা। ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী ও সুশিক্ষার জন্য তিনি লড়ে যাচ্ছেন স্রোতের বিপরীতে। পথশিশু-মুক্ত পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখে চলছেন প্রতিনিয়ত। এজন্য ইউনাইটেড নেশন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (UNDP) তাঁকে 'ট্রান্সফরমার' খেতাবে ভূষিত করেছে এবং তাঁর গল্প নিয়ে নিয়ে প্রকাশ করেছে 'ট্রান্সফরমার' নামের একটি বই, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ছোটো ছোটো শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণার গল্প হিসেবে পঠিত হচ্ছে। তরুণ এই লেখক তাঁর লেখার মাধ্যমে ইতোমধ্যেই জয় করেছেন লাখো মানুষের মন। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'আমি মানুষ বলেই'। ২০২০ সালে প্রকাশিত দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ 'কিছু বইয়ের নাম থাকে না'। ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত তাঁর কব্যগ্রন্থ 'আহত আত্মার মুক্তি চাই' ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। ২০২৪-এর বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে কাব্যগ্রন্থ 'প্রশান্তি' ও 'বাংলায় English শিখি' নামে ২টি বই।