বইয়ের ফ্ল্যাপ বাঙালির সাহিত্য ও সংস্কৃতির মহত্তম প্রতিভা রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে বিদগ্ধজন মূল্যবান বিশ্লেষণ করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। এই বিচার-বিশ্লেষণ মূলত নন্দনতাত্তি¡ক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রণীত হয়েছে। তরুণ প্রাবন্ধিক ও গবেষক রাজীব সরকার ভিন্নমাত্রিক বিশ্লেষণে উপস্থাপন করেছেন রবীন্দ্রনাথকে। বর্তমান বিশ্বে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠা সংকটের নাম উগ্রবাদ। মনুষ্যত্ববিরোধী এই সংকট মোকাবিলায় রবীন্দ্রনাথের রচনা যে শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে তা এই প্রথম জোরালো যুক্তি দিয়ে উপস্থাপিত হয়েছে উগ্রবাদ ফ্যাসিবাদ ও রবীন্দ্রনাথ বইয়ে। উগ্রবাদ একটি মতাদর্শ। এটি মোকাবিলায় প্রয়োজন পাল্টা মতাদর্শ। সেই মতাদর্শের নির্যাস মানবতাবাদ। মনুষ্যত্বের জয়ের মধ্যেই নিহিত রয়েছে উগ্রবাদের ক্ষয়ের বীজ। রাজীব সরকার দেখিয়েছেন ধর্মীয় উগ্রবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মানবতাবাদী রবীন্দ্রনাথের চিন্তা একবিংশ শতাব্দীতেও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তাঁর সাহিত্যকর্মের এমন প্রায়োগিক মূল্য নিরূপণের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রসাহিত্য সমালোচনায় এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হলো। ‘দানবের সাথে যারা সংগ্রামের তরে প্রস্তুত হতেছে ঘরে ঘরে’ সেই শুভশক্তির জন্য প্রেরণার উৎস হতে পারে উগ্রবাদ ফ্যাসিবাদ ও রবীন্দ্রনাথ ।
ব্যাক কভার উগ্রবাদ একটি মতাদর্শ। এটি মোকাবিলায় প্রয়োজন পাল্টা মতাদর্শ। সেই মতাদর্শের নির্যাস মানবতাবাদ। মনুষ্যত্বের জয়ের মধ্যেই নিহিত রয়েছে উগ্রবাদের ক্ষয়ের বীজ। মানবতাবাদী শিল্পী রবীন্দ্রনাথের উগ্রবাদবিরোধী মতাদর্শের অসামান্য প্রকাশ উগ্রবাদ ফ্যাসিবাদ ও রবীন্দ্রনাথ।
রাজীব সরকারের জন্ম ১৯৮০ সালে ময়মনসিংহে । তাঁর নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ। উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ ও যুক্তরাজ্যের নর্দাম্ব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক রাজীব সরকার। ১৮তম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল তাঁর নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং তিনি শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে পাঠচক্র সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিন বছর। বিভিন্ন দৈনিক ও সাহিত্যপত্রে লেখালেখি করেন। তাঁর প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থ : বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার ভবিষ্যৎ (২০০১), নিহত রবীন্দ্রনাথ, যুক্তি+ তর্ক = বিতর্ক (২০১২), মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে (২০১৪), সাহিত্যিকের সমাজচেতনা ও অন্যান্য ভাবনা (২০১৫) এবং ইউরোপের পথে পথে (২০১৬)। তিনি এশিয়া, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার ১৬টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। স্ত্রী সুদীপ্তা সরকার। দুই পুত্র সাগ্নিক ও ঋত্বিক।