বিশ্বে চলমান সংঘর্ষ, নানা ছল-বল অজুহাতে সম্পদ লুণ্ঠনের লড়াই, চলছে ক্ষমতার দাম্ভিকতা, দেশে দেশে যুদ্ধ, মানুষে মানুষে রক্তারক্তি হানাহানি, যখন মৃত্যুর মিছিল হয় প্রতিনিয়ত, যখন একে অন্যের রক্তপিপাসু হয়ে উঠেছে গোটাবিশ্ব, যুদ্ধের বিকল্প কিছু নেই বিশ্বনেতাদের কাছে। যখন পর্দার আড়ালে থাকা মানুষ নামের জানোয়ারগুলো মানুষের রক্ত দেখে আনন্দ পায়, রক্ত না দেখে যারা শান্তিতে ঘুমাতে পারে না। যখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শতভাগ সম্ভাবনা।br ঠিক এই সময় ঘটে রোডস নামক এক ব্যক্তির আবির্ভাব, যে পেশায় আইনজীবী। শহরজুড়ে বেশ নামডাক আছে তার। যে চায় একটা পরিবর্তন। যে পরিবর্তনটা পুরো বিশ্ববাসীর দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে দেবে, তাদের মধ্যে আর কোনো বৈষম্য রাখবে না, সে মানুষকে ধর্ম, গোত্র, বর্ণ, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হতে আহ্বান করে।br মানুষকে বোঝাতে নানা সভা সেমিনার করে সে, তা নিয়েই বাঁধে কিছু মানুষের মধ্যে যত আপত্তি, সে মানুষগুলো সংখ্যায় খুবই কম কিন্তু সবচেয়ে ক্ষমতাধর। নানা মিথ্যা অপবাদ নানা ছল-বল, কলা-কৌশলে যখন রোডসকে দমানো সম্ভব হচ্ছিল না, তখন পরিকল্পনা করে তাকে হত্যার।br অন্যদিকে হ্যানসান হুভার নামক এক নারী সাংবাদিক, নেমেছে হাজরো প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর পৃথিবীর কারো কাছে হয়তো নেই, বিশ্ব রাজনীতির অন্ধকার গলি, যে গলিতে লুকিয়ে আছে সত্যিকারের ঞড়ঢ় ঞবৎৎড়ৎ রা, তৃতীয়পক্ষ নামক কোনো শক্তি আদৌ কি আছে? যারা সারাবিশ্বে গন্ডগোল বাঁধিয়ে রেখেছে। যারা মেতেছে ছোট্ট এ পৃথিবীটাকে নিয়ে এক নৃশংস খেলায়। br তার দীর্ঘদিনের তদন্তে বেরিয়ে আসে অবিশ্বাস্য সত্য, বের করে আনে শত শত বছর ধরে লুকিয়ে থাকা চরম সত্যকে, যা কোনো মানুষের সামনে আজ পর্যন্ত উঠে আসেনি। মানুষ কখনো কল্পনাও করেনি পর্দার আড়ালে এত বড় বড় সত্য লুকিয়ে রয়েছে।
সৈয়দ হাসান মাহমুদ, একজন বহুমাত্রিক লেখক, (গল্প,প্রবন্ধ,কবিতা, উপন্যাস, শিশুসাহিত্যসহ প্রত্যেক কিছুতে রেখেছেন ছাপ) ২০২০ গ্রন্থমেলায় তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ' দ্য বিগ ট্রাজেডি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ' । উপন্যাস হলেও, বইটি মূলত পৃথিবীতে মানুষে মানুষে চলমান সংঘর্ষগুলোর বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ। বইটিতে বিশ্বমানবতার জন্য দেয়া হয়েছে বিশেষ বার্তা। বইটি উৎসর্গও করেছেন বিশ্বমানবতার উদ্দেশ্য। বই প্রকাশের আগে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় তার বহু লেখা পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। শৈশব থেকে লেখালেখির হাতেখড়ি হলেও বই প্রকাশে পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করেন স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর। জন্ম ১৯৯৫ সালের ২৮ নবেম্বর, চট্টলাম জেলার, পটিয়া উপজেলার হুলাইন গ্রামে।