মনে রাখতে হবে পশ্চিমা জনপ্রিয় মতবাদগুলো মুমিনদের জন্য একেকটা ফিতনা। মুমিনগণ যেখানেই নির্যাতিত হয়েছেন, এসব মতবাদ তাদের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনেনি। উপরন্তু এসব মতবাদ মুসলিমদের জন্য পরাধীনতা, কুফরের শাসন, নির্যাতন ও জুলুমের রাস্তাগুলো উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আজকের চীনের উইঘুর মুসলিমদের অবস্থা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। কাজেই এসব মতবাদ ইসলামাইজেশন করার মাঝে হীনম্মন্যতা প্রকাশের জৈবিক সুখ আছে বটে: কিন্তু কল্যাণ নেই। এসব ভ্রষ্ট মতবাদ ইসলামাইজেশন করার মধ্য দিয়ে আমরা যে মানবিকতার কাতারে দাঁড়াতে চাই, সেখানে কখনোই আমাদের এতটুকু জায়গা হবে না এবং সেটা আমাদের জায়গাও নয়। তাই পশ্চিমা ধ্যান-ধারণার কোনো তত্ত্ব যদি আক্ষরিক অর্থে ইসলামের সাথে মিলেও যায় তবে তাকে আক্ষরিকতায় গুলিয়ে না ফেলে স্বতন্ত্রভাবে ইসলামি রূপরেখার জায়গা থেকে উপস্থাপন করা উচিত। পরকালীন কল্যাণের বিশ্বাস ধূসর হয়ে গেলে-মানুষের কাছে ইসলামের বিধানাবলি, এর প্রয়োগনীতি এবং এক্ষেত্রে কিছুটা বলপ্রয়োগ- বাড়াবাড়ি, অমানবিক ও ক্ষেত্রবিশেষ হিংস্র ও বর্বর মনে হতে পারে। এটা ‘মুক্তচিন্তার’ প্রভাব। এর প্রভাবেই মানুষ আল্লাহর পরিবর্তে নতুন প্রভুত্বের সন্ধান করে। তারা তাদের এই প্রভুকে দৃশ্যমান কোনো পূজা দেয় না বটে; তবে এর মানদণ্ডেই বিচার করে সাদা-কালো, সত্য-মিথ্যা। কিন্তু সাময়িক বলপ্রয়োগ দ্বারা যদি কোনো জাতিগোষ্ঠীর পরকালীন শাস্তি থেকে বেঁচে যাওয়ার রাস্তা উন্মুক্ত হয়ে যায় এবং তা যদি আল্লাহর হুকুমেই হয়, তবে এরচেয়ে কল্যাণকর কাজ কী হতে পারে!