আনিসুজ্জামান স্যারের সর্বশেষ আশীর্বাদপুষ্ঠ গ্রন্থ 'অতলান্ত খোঁজ'। তিনি লিখেছেন - 'কল্যাণীয়া নিলুফা আকতার সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। পাশাপাশি সৃষ্টিশীল সাহিত্য রচনায় সে একনিষ্ঠ। 'অতলান্ত খোঁজ' তার প্রথম উপন্যাস। রচয়িতার বাস্তব পর্যবেক্ষণের সঙ্গে কল্পনাশক্তির সার্থক যোগে এই উপন্যাসটি গড়ে উঠেছে। এতে মানবজীবনের বিশেষত নারীজীবনের নানা উত্থানপতনের চিত্র ধরা পড়েছে।সমাজের সঙ্গে ব্যাক্তির এবং ব্যাক্তির সঙ্গে ব্যাক্তির দ্বন্দ্বসহযোগসংঘাত এতে রূপায়িত হয়েছে। তার মধ্যে থেকেই জীবন সম্পর্কে তিক্তমধুর উপলব্ধি, গতানুগতিক জীবনাচরণকে অতিক্রম করে এক নতুন ভাবনার দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছাবার চেষ্টা। লেখক একই সঙ্গে মেধাবী ও পরিশ্রমী। বইটির প্রকাশভঙ্গির মধ্যেও আছে নিজস্বতার গাঢ় ছাপ। এই বইয়ের প্রকাশ উপলক্ষে আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। আশা করি, ' অতলান্ত খোঁজ ' পাঠকের সমাদর লাভ করবে। ' আনিসুজ্জামান, ২৫ নভেম্বর ২০১৯ বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। "এমন কোন বড় উপন্যাস হতে পারে যেখানে কোন চরিত্রের নাম নেই,বর্ননাকারীও অজ্ঞাতনামা এবং স্থান কাল, নাম বা সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত নয়?এমন দারুন একটি অভিনব উপন্যাস লিখছেন নিলুফা আকতার।তাঁর ' অতলান্ত খোঁজ' না পড়লে এক বিরল অভিজ্ঞতা বিশাল ভাবে মিস করবে পাঠক।আত্মতৃপ্ত লেখকরা যদি পড়েন , তারা নড়ে-চড়ে বসতে বাধ্য। নিলুফা আকতার এবং পাঠক সমাবেশকে অভিনন্দন।" হাসনাত আবদুল হাই
জন্ম ও বেড়ে উঠা চাঁদপুর শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স এম.ফিল ও পি.এইচ.ডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ২০০৬ সাল থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত আছেন। লেখকের প্রথম প্রকাশিত কবিতার গ্রন্থ " ভাঙ্গনের শব্দ শুনি শুধু ", পলল প্রকাশনী থেকে ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়। তাছাড়া ১৯৯৮ সালে লেখিকা সংগঠনের যৌথ উদ্যেগে একটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়।