এই উপন্যাসটি একজন তরুণ লেখকের। বইটির ভাষার কারুকার্য কোনো ভাবেই উপেক্ষা করার মতো নয়। যারা বই-প্রেমী তারা লেখকের মগজে ঘুরে আসতে পারেন। আশা করি ভালো অনুভূতি হবে। বইটির গল্প সমাজ থেকে বাস্তব চরিত্র সংগ্রহ করা। আমরা দাবী করি আমরা সভ্য সমাজের মানুষ। কিন্তু, আমাদের কাজকর্ম প্রমাণ দেয় অসভ্যের মূলে আমরাই। প্রত্যেকটা মানুষের ভেতরে একটা জগত আছে। এবং সেই জগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নিজের। সান্ত্বনা দেয়ার মানুষ পৃথিবীতে চাইলেই পাওয়া যায়। কিন্তু অন্তরের নর্দমা পরিষ্কার করার জন্যে চাইলেই পরিচ্ছন্ন কর্মী পাওয়া যায়না। লেখক মনে করেন মানুষ কখনো মরে যাওয়ার ভয়ে আত্মহত্যা করেনা। মানুষ আত্মহত্যা করা সমাজের অপরিচ্ছন্ন নর্দমা যুক্ত মানুষের ব্যাবহারে। আমাদের সমাজে কেউ আত্মহত্যা করলে আমরা ভেবে নেই সে নিজে মারা গেছে। আমরা কখনো ভাবিনা তাকে হত্যা করা হয়েছে। এটাই হচ্ছে আমাদের বড় সমস্যা। আমাদের বেঁচে থাকার জন্যে ভালো ব্যাবহার, অল্প কথা বলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বইটির শেষের দিকের কাহিনী জটিল হলেও উপভোগ্য। নাটকীয়তা আরো বাড়তে পারতো। লেখক ইচ্ছে করেই গল্পের ইতি টেনেছেন। কিছু কিছু জায়গায় লেখক আরো যত্নশীল হতে পারতেন। কিন্তু সমস্যা হলো যত যত্নশীল হতে যায়, কাহিনী তত বড় হতে চায়। তাই পাঠকের কাছে মনে হতে পারে যত্ন কম হয়েছে। তবে নিশ্চই লেখক পরের বইয়ে আরো যত্নশীল হওয়ার চেষ্টা করবেন। সব মিলিয়ে বলা যায় লেখকের এই অনবদ্য সৃষ্টি পাঠকের মনে সাড়া দেবেই। পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে আঞ্চলিক ভাষা পরিহার করা হয়েছে। বই পড়ুন, আত্মাকে সুস্থ রাখুন।