৫ বছরের শিশুকেও ওরা ছাড়েনি। নিজেদের যৌনক্ষুধা মিটিয়েছে হায়েনার মত। পৃথিবী যতটা উন্নত হচ্ছে ততটাই পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে হিংস্রতা, অধিকার খর্বতা, ভোগবিলাসীতা, নারীর প্রতি অসম্মান। ধর্ষকের চোখে শিশু-কিশোরী, যুবতী কিংবা বৃদ্ধা! সবাই কেবল ভোগের পণ্যে পরিণত হয়েছে। এই যে দিনদিন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ পশুতে পরিণত হচ্ছে, এর পিছনে দায় কার? সমাজ, রাষ্ট্র এবং বিশ্বব্যবস্থায় নারীকে সহজলভ্য করে তোলার চক্রান্ত চলছে। একজন পুরুষের জন্ম হয় নারীর গর্ভ থেকে। অথচ নারীর আদরযত্নে বড় হওয়া কিছু পুরুষ গোগ্রাসে গিলতে চায় সেই নারীকেই। একজন পুরুষ কিভাবে হয়ে উঠে ধর্ষক? এর পিছনের লুকিয়ে থাকা কারণগুলিই বা কী? পর্ণগ্রাফির প্রতি আসক্তি? পরিবারের দেয়া সু-শিক্ষার অভাব! নারীকে খোলামেলা পোশাকে দেখেই কি তার প্রতি জাগে লোভ? নাকি মদ, গাঁজা, ইয়াবার নেশা থেকেই জেগে উঠে নারীকে ভোগের আসক্তি! ধর্মীয় মূল্যবোধ কিংবা ধর্মীয় অনুশাসন না মানার ফলেই কি ধর্ষকরূপী পুরুষরা করে না নারীকে সম্মান? একজন নারীর স্বাধীনতা কিংবা নিরাপত্তার মাপকাঠিই বা কি? মহাগ্রন্থ আল কুরআন, হাদীসের পাতায়, ইসলামের বিধানে ধর্ষকের শাস্তিই বা কী? কোথায় আছে নারীর সত্যিকারের নিরাপত্তা, সম্মান? কি করলে ধর্ষণ বন্ধ হবে আর নারী পাবে নির্ভরতা? শুধু ধর্ষণবিরোধী আইন করলেই কি নারী নিরাপদে থাকবে? নাকি ইসলামী আইনের যথাযথ প্রয়োগ আর বাস্তবজীবনে পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রে তার বাস্তবায়নই পারে ধর্ষণ এর মত জঘণ্য অপরাধ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন? পত্রিকার পাতা কিংবা মিডিয়া— সবখানেই চোখে পড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। এর প্রতিকার কী? এসব প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দরভাবে উঠে এসেছে সেফটিপিনে। সেফটিপিন শুধু একটি উপন্যাস নয়— কলমের ভাষায় ধর্ষণের প্রতিবাদ। নারীর নিরাপত্তার কোড। সেফটিপিন খুলে দিবে সমাজের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ের আয়না। নারীর কান্না আর আর্তনাদবন্ধে সেফটিপিন রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এসব অসঙ্গতির সমাধান নিয়ে নতুনরূপে বর্ধিত কলেবরে আসছে তরুন লেখক মেহেদী রিয়াদের ইসলামী ঘরানার সমসাময়িক আলোচিত উপন্যাস সেফটিপিন এর ২য় মুদ্রন। লেখক খুব সুন্দরভাবে গল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন ধর্ষণ এর কারণ ও এর প্রতিকার।