মিনা ও মিতু, দুইবোন। শুধু বোন নয়, একে অপরের ভালো বন্ধুও। দুজনের আচরণে ফুটে ওঠে মাধুর্যতা, কথাবার্তায় বিনয়ী, ভদ্রতা ও নম্রতার অন্যতম উদাহরণ। এই শিক্ষাটা তাদের পরিবার থেকেই প্রাপ্ত। বাবা মা সন্তানকে যে শিক্ষা দেন সন্তান সে শিক্ষাই অর্জন করে। দু বোন একদিন মামার কাছে রক্তছায়ার গল্প শোনে। ছায়া নামের একটি মেয়ে বাবাকে হারিয়ে এক বাড়িতে কাজের মেয়ে হিসেবে আশ্রয় নেয়। ছায়া বাড়ির মালিক কর্তৃক খুন হওয়ার পর রক্তছায়া হয়ে যায়। তার খুনের বদলা নেয় সবার উপর। লোকজনকে মেরে সে আনন্দ উল্লাস করে। মিনা ও মিতু ছুটিতে মামার সাথে বেড়াতে যায় গ্রামে। সেখানে গিয়ে এই রক্তছায়ার সাথে দেখা। ছায়া দু বোনকে মারতে উদ্যত হলে ওরা ছায়াকে বুঝিয়ে বলে সে যা করছে সেটা অন্যায়। মূলত মিনা ও মিতু'র কথায় অদ্ভুত পরিবর্তন চলে আসে রক্তছায়ার মাঝে। সে মানুষকে মেরে ফেলার পরিবর্তে মানুষের বিপদে আপদে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে শুরু করে। রোগীদেরকে রক্ত জোগাড় করে দেয়। এভাবে সে রক্তছায়া থেকে রক্তপরী নামে পরিচিত হয় সবার কাছে। গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়ের ভালো বন্ধু হয়ে যায় রক্তছায়া। তার মাঝে যে পরিবর্তন তা মিনা ও মিতু দু বোনের কারণেই হয়েছে। রক্তছায়া আজীবন কৃতজ্ঞ হয়ে যায় মিনা ও মিতুর প্রতি।