ইয়াজুজ-মাজুজ। দাজ্জালের মৃত্যুর পরপরই এদের আগমন ঘটবে। কিয়ামতের বড় দশটি নিদর্শনের একটি হল ইয়াজুজ-মাজুজ। দাজ্জালের ফিতনার মত ইয়াজুজ-মাজুজ ফিতনাও হবে ভয়াবহ এক ফিতনা। এরা দ্রূতবেগে চলে আসবে। দেখে মনে হবে তাঁরা যেন ঢেউয়ের পরে ঢেউ। তাদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না কেউ। আমরা অনেকেই ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখিনা। আমাদের সন্তান-সন্তুতি, পরিবার, সমাজের মানুষেরা ইয়াজুজ মাজুজ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেনা। জানলেও এই ব্যাপারে খুব একটা পরিস্কার প্রতিচ্ছবি আমাদের কাছে নেই। আমাদের অনিচ্ছা, বেখেয়ালীপনাই এর জন্য দ্বায়ী। আমরা নিজেরাও যেমন জানিনা, তেমনি আমাদের ঘরের ও ঘরের বাইরের কেউ ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তাঁর সদুত্তর দিতে পারিনা। দারস্থ হই ইউটিউব, ইন্টারনেট কিংবা ফেসবুক পাড়ায়। কিন্তু সেখানেও রয়েছে সমুদয় ভ্রান্তি। ইয়াজুজ-মাজুজ নিয়ে একেকজন একেক রকমের উক্তি। নানাজনের নানা কথায় ইয়াজুজ-মাজুজের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা বিভ্রান্ত হয়ে যাই। আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা সকলেই ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কে উল্টাপাল্টা বুঝ নেই। এমনকি, আগামীর ভবিষ্যৎ শিশু-কিশোরেরাও গলদ বিশ্বাসে বড় হয়, টিনের চশমা পরে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। যা কখনই কাম্য নয়। সকরুণ এই পরিস্থিতিতে ইয়াজুজ-মাজুজের ভয়ানক ফিতনার রূপরেখা ও সীমারেখা নিয়ে শিশু কিশোরদের জন্য “এসো ইয়াজুজ মাজুজ চিনি” – বইটি মলাটবদ্ধ করার ক্ষুদ্র প্রয়াস হাতে নিয়েছি বি-ইযনিল্লাহি তা’আলা।
জন্মসনঃ ১৯৮৫ জন্মস্থানঃ সিরাজগঞ্জ স্কুল শিক্ষক পিতার বড় সন্তান। মা গৃহিণী ও কুরআন শিক্ষিকা। পড়াশুনাঃ ছোট বেলায় কুরআন শিক্ষা অর্জন। অতঃপর ২০০১ সালে এসএসসি ও ২০০৩ সালে এইচএসসি সম্পন্ন। অতঃপর, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে ব্যবসার উপর ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন। বর্তমানে আযান হিজামা ক্লিনিকে হিজামা প্র্যাকটিস করেন। আল-কা'বা হজ্জ্ব গ্রুপের পরিচালনা পরিষদের সদস্য হিসেবে কর্মরত আছেন। মুসাফির টুরস এ্যন্ড ট্র্যাভেলস - এর সত্ত্বাধিকারী হিসেবে নিযুক্ত আছেন। গত পাঁচ বছর ধরে ইসলাম নিয়ে লেখালেখি করেন, দাওয়াতী কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেন। তিনি দোয়া চেয়ে বলেন, মহান আল্লাহর কাছে যাবতীয় লৌকিকতা থেকে পানাহ চাই, মানুষকে ইসলামের দাওয়াহ দিয়ে নিজে গোমরাহিতে যেন ডুবে না যাই। اللهم تقبل منا