দুইদিন ধরে ঢাকা শহরের রাস্তায় ঘুড়ছে সাদা শার্ট নীল জিন্স পরা এক যুবক। যুবকের নাম শ্রাবণ। রাত জেগেছে সদরঘাটের চার নম্বর টার্মিনালে। কি কাজ তার এই শহরে, কোথায় যাবে, কিভাবে যাবে মনের ভিতরে এসব কে যেনো ঠিক করে দিয়েছিলো। কিন্তু ভোলা মনের যা হয় আর কি। সব কিছু ভুলে শূন্য সাদা হয়ে আছে। মনের উপর একটু চেষ্টা তদবির করলে কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু কষ্ট করে সেখানে এটুকু চাপ দেবার মতো সময় নেই তার। ইচ্ছাটাও নেই। অদ্ভুত এক শান্তি শান্তি ভাব নিয়ে এদিক সেদিক ঘুড়ে বেরাচ্ছে বোকা আর অলসের রাজা এক যুবক। সময়ের ভিন্ন এক মানুষ। ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ দিক। গরমের কমতি নেই কোথাও। সাদা মেঘের টুকরোগুলো ঘুড়ছে পিছে পিছে। কেউ বোঝে না কিন্তু চোখের আশ্চর্য এক যাদু জানা আছে তার। যে মানুষের দিকে তাকায় সেদিকের মানুষটার ভিতরে পদ্মা যমুনা বয়ে যায়। কেউ কনো মিথ্যে কথা তখন বলতে পারে না। চালাকি করতে পারে না। অচেনা সেই আলো দু'চোখে জ্বালিয়ে ইট কাঠ পাথরের পিচ্ ঢালা রাস্তায় ঘুড়ে বেরাচ্ছে শ্রাবণ। শ্বাসকষ্ট ভরা বুকে বৃষ্টির শব্দ তার। ঝির ঝির করে এই ভরা গরমেও সেখানে নেমেছে ঢল। হঠাৎ সব কিছু মনে পরে গেলো শ্রাবণের। শান্ত শুভ্র এক বৃষ্টির খোঁজে যাযাবর হয়েছে সে আজ। না চেনা না জানা এক ভালোলাগা শক্তি পথ চিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ঠিকঠাক।