দিন শেষে বিজ্ঞানীরাও মানুষ, তাই তাঁরাও প্রেমে পড়েন। কেউ একবার, কেউ বার বার। প্রেমে সুখি বিজ্ঞানীর অভাব যেমন নেই, তেমনি প্রেমের কারণে নিঠুর মৌন ঝড় কিংবা কলঙ্কের চোরাবালিতে সুখ হারানো রথী-মহারথীরও অভাব নেই বিজ্ঞানী সমাজে। ডাকসাইটে বিজ্ঞানীরাও যেমন প্রেমে পড়েছেন, সাধাসিধে ভালো মানুষ গোছের বিজ্ঞানীরাও বাদ যাননি। শুধুই কি প্রেম, অবাধ যৌনাচার, পরকীয়ার কলঙ্কেও বিষিয়ে উঠেছে বিজ্ঞানীদের জীবন। বিজ্ঞানীদের গোপন জীবনের সুলুক-সন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে ইতিহাসের কানাগলিতে গুমরে মরা অনেক অবিশ্বাস্য কাহিনি। প্রেম-ভালোবাসার বাইরেও বিজ্ঞানীদের জীবনে রয়েছে অনেক অজানা অনেক কালো অধ্যায়। সেসব অধ্যায়ে লেখা হয়েছে বিজ্ঞানীদের শঠতা, নীচতা, বিশ্বাসঘাতকতা ও জোচ্চুরির কাহিনি। বিজ্ঞানীদের মতো মহৎ হৃদয়ের মানুষগুলো ঈর্ষা-হিংসায় অনেক সময় অতি হিংসুককেও হার মানিয়েছেন। হিংসার বশবর্তী পদে পদে কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছেন তরুণ বিজ্ঞানীদের সাফল্যের পথে। অনেক সময় বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের বিরোধিতা আর জিদের কারণে ধংস হয়ে গেছে সম্ভাবনাময় নবীন বিজ্ঞানীদের জীবন। অনেক বিজ্ঞানী আবার তাঁদের ক্ষুরধার বুদ্ধি দিয়ে এমন সব হাস্যকর কাণ্ড করেছেন, যেগুলো হয়ত অতি সাধারণ বোকারাও করবে না। বিজ্ঞানীদের গোপন জীবনের ফিরস্তি তুলে ধরার প্রয়াস থেকেই জন্ম হয়েছে এই বইয়ের।
আবদুল গাফফার রনি জন্ম ৩ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কাঁটাপােল গ্রামে, মাতুলালয়ে। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ইছামতীর তীরঘেঁষা শ্যামকুড় গ্রামে তাঁর বেড়ে ওঠা । আধাবােহেমিয়ান । ঘর আছে আবার ঘর ছাড়তেও জানেন । প্রকৃতির হাতছানিতে বেরিয়ে পড়েন। দেশের পথে-প্রান্তরে, সাগরে-পাহাড়ে, জঙ্গলে । ভালােবাসেন বই পড়তে, গান নেতে। বিভূতিভূষণের অপু-দুর্গা, ইছামতী, গ্রাম, প্রকৃতি তার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছে। বিজ্ঞানের বইয়ের ভেতর থেকেও মজা খুঁজে নিতে জানেন । বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়, মুহম্মদ জাফর ইকবাল আর পথিক গুহকে আইডল মেনে লিখে যাচ্ছেন বিজ্ঞান, প্রকৃতি বিষয়ক লেখা এমনকি গল্পও। পড়া, লেখা আর ভ্রমণের পাশাপাশি দেশের জনপ্রিয়তম বিজ্ঞান ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তার সহসম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৫টি। শিশুতােষ গল্পের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড'।